*প্রতিদিন গড়ে পশু বিক্রি ৪ হাজার ৩৮৪টি
নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার অনলাইন পশুর হাট গুলোতে সবচেয়ে বেশি কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা, তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ৭৪১টি অনলাইন বাজারের তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
৫১ হাজার ৬৪৯টি গবাদিপশুর তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। তার মধ্যে ১১১ কোটি টাকায় ১৫ হাজার ৭৫টি পশু কেনাবেচা হয়েছে।
গেল ২ জুলাই অনলাইনে পশুর হাটের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে পশু বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৪টি।
অনলাইন বাজারের মধ্যে সরকারি উদ্যোগ ৫৩০টি এবং বেসরকারি উদ্যোগ ২১১টি পরিচালিত হচ্ছে। তবে এর বাইরেও অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অনলাইনে পশু বিক্রি করছেন। সেই তথ্য এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না।
শনিবার (১০ জুলাই) কোরবানিযোগ্য এক লাখ ৪১ হাজার গবাদিপশুর তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এবার অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। এবার প্রয়োজনের তুলনায় কোরবানির পশু বেশি। ভারত বা অন্য দেশ থেকে পশু আমদানি নিষিদ্ধ রয়েছে এসব কোরবানিযোগ্য পশু।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনায় বেশ সাড়া পড়েছে। সামনে বিক্রি আরো বাড়বে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ অনলাইনে পশু বিক্রিতে শীর্ষে। লকডাউনের কারণে ক্রেতারা বেশি সাড়া দিচ্ছে।
চট্টগ্রামে এবারের বাজারে সম্ভাব্য কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার। যার বিপরীতে আনোয়ারা, সাতকানিয়া, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা মিলে চট্টগ্রাম জেলায় স্থানীয় উৎপাদন ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪টি। যার মধ্যে গবাদি পশু আছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৪০টি, মহিষ আছে ৬৩ হাজার ১৩৬টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩টি ও অন্যান্য পশু আছে ৯৫টি।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের গত ৫ বছরে চট্টগ্রাম জেলার বছর ওয়ারী পশু জবাই ও উৎপাদনের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের স্থানীয় উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার। যার বিপরীতে জবাই হয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ২৫০টি পশু। ২০১৬ সালে স্থানীয় উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১১৯টি। যার বিপরীতে জবাই হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৫২টি। ২০১৭ সালে স্থানীয় উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৩টি। ২০১৮ সালে স্থানীয় উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৪টি। যার বিপরীতে জবাই হয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার। ২০১৯ সালে স্থানীয় উৎপাদন ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি। যার বিপরীতে জবাই হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৯টি। ২০২০ সালে স্থানীয় উৎপাদন হয়েছিলো ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি।যার বিপরীতে জবাই হয়েছিলো ৭ লাখ ৩০ হাজার ৩২টি।