বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: লটারির পরিবর্তে আবেদনের অর্থের আনুপাতিক হারে আইপিও নিশ্চিত হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারে কোনোরকম বিনিয়োগ না থাকলেও আইপিওতে শত শত আবেদনের জন্য বিও অ্যাকাউন্ট চালায় এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম নয়। বন্ধু, স্বজন কিংবা পরিচিতদের নামে হিসাব খুলে তা পরিচালনা করে মূলত একজন। এতে আইপিওর লটারিতে শেয়ার পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। যেখানে নিশ্চিত লাভের অঙ্কটাও কম নয়। এখন থেকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ না থাকলে আবেদন করা যাবে না আইপিওতে।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে আইপিও আবেদনের বিপরীতে একেকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লটের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ গুণ কম থাকায় বেশির ভাগ আবেদনকারীই পেতেন না। গত কয়েকটি আইপিওর সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর কয়েক দিনেই চার-পাঁচ গুণের বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এসব বিষয় পর্যালোচনা করে সবার জন্য আইপিও নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা চাঁদা, তালিকাভুক্ত শেয়ারে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক রেখে আইপিও প্রক্রিয়া সংস্কারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ কেউ শেয়ার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলেন বা পরিচালনা করেন। তারা যেন সেখান থেকে বিরত থাকতে পারে সেটারও একটা সুযোগ আমরা সৃষ্টি করব। আমরা অনলাইন ভিও আইডির মাধ্যমে চিন্তাভাবনা করছি। তাহলে যারা মার্কেটে আসতে আগ্রহী তারা কিছুটা হলেও আইপিওভিত্তিক শেয়ার কেনার সুযোগটা পাবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইপিও প্রক্রিয়ার সংস্কারকে ইতিবাচক বলছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এর মাধ্যমে কমবে মৌসুমি আইপিও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ও অনিয়ম।