বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোয়ও বেড়েছে রোগীর চাপ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসিইউ বিভাগের একটি বেডও খালি নেই।
মা ও শিশু হাসপাতালের চিত্রও একই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউ বেড খালি আছে মাত্র তিনটি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, করোনা মোকাবিলায় সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রস্তুত আছে। কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুর রব মাসুম বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, গেল ১৫ দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। করোনা ইউনিটে মোট ৮২ জন নতুন রোগী ভর্তি আছেন। হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতেই রোগী ভর্তি। তাই নতুন করে অনেক রোগীর জন্য আইসিইউ সাপোর্ট জরুরি হলেও আমরা দিতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, ১৫ দিন আগেও ৩-৪টি আইসিইউ বেড খালি থাকত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) পর্যন্ত আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি আছেন ৬৪ জন রোগী। যেখানে ১০ দিন আগেও রোগী ছিল ৪০ জনের মতো।
একই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, ১৭১ জন রোগী করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন। ১০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৭টি বেডেই রোগী ভর্তি আছে।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৭৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। আইসিইউ বেড আছে ১৬টি, সবগুলোতে রোগী ভর্তি। কখন একটি আইসিইউ বেড খালি হবে তার অপেক্ষায় থাকেন অনেক রোগী।
করোনা ইউনিটের সবগুলো বেডে রোগী আছে বলে জানান সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন। বেসরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রাম পার্কভিউয়ের আইসিইউ ইউনিটেও বেড খালি নেই।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এরই মধ্যে অতি সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাকে বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ৭ দিন (৩০ জুন) পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। নগরীতে রাত ৮টার পর ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন থেকে।