বিজনেসটুডে২৪প্রতিনিধি
ঢাকা: ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।শনিবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এসব প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনকে, যিনি এখনআওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদে আছেন।
৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন পাঁচশ জন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মো. মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ, কে, এম, শফিকুল মোরশেদ।
রংপুর বিভাগ
কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, গাইবান্ধায় মো. আবু বকর সিদ্দিক, পঞ্চগড়ে মো. আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মো. মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ।
রাজশাহী বিভাগ
নাটোরে মো সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন, জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মো. মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।
খুলনা বিভাগ
মেহেরেপুর মো. আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় মো. সদরউদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান (মনজু), যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, সাতক্ষীরা…(নাম ঘোষণা হয়নি), ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস।
বরিশাল বিভাগ
বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে মো. খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান।
ময়মনসিংহ বিভাগ
জামালপুরে মো. বাকি বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোণায় অসিত কুমার সরকার।
সিলেট বিভাগ
সুনামগঞ্জে মো. খায়রুল কবির রুমেন, সিলেটে নাসিরউদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালীতে আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার।
গড়ে প্রতিটি জেলায় আটজনের অধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন। এছাড়া গাইবান্ধা-৫ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ১০ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ে ছিলেন-সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জেলা-উপজেলার দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রবীণ নেতারা। স্থানীয় জনপ্রিয়তা ও এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১২ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।