Home First Lead আগ্নেয়গিরি ফুঁসে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ায়

আগ্নেয়গিরি ফুঁসে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ায়

ইন্দোনেশিয়ায় ফের জেগে উঠল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ গতকাল রাত থেকেই। গলগলিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে। পুরু ছাইয়ের স্তর ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে।

দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। মাস তিনেক আগেই জেগে উঠেছিল মাউন্ট সিনাবাং। ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল ৫ কিলোমিটার অবধি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু মানুষ। ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানাচ্ছে, নুসা তেনগারা প্রদেশে রয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। বহুকাল মুখ বুঝে ছিল। গতকাল রাতে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় জ্বালামুখ থেকে। তারপরেই বিকট বিস্ফোরণ। কেঁপে যায় আশপাশের কয়েকটি গ্রাম।

আকাশে ৪ কিলোমিটার অবধি উঠেছে কালো ধোঁয়া। ২৬টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ ঘরছাড়া। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্য রাদিত্য জতি বলেছেন, প্রাণহানির খবর এখনও মেলেনি। আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে উদ্ধারের কাজ চলছে।

World: Indonesian volcano erupts, forcing residents to flee - PressFrom - Australia

ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টার জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ফের জেগে উঠতে শুরু করেছিল। রাতের দিকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছিল। আগ্নেয়গিরির সংলগ্ন গ্রামগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। রবিবার ভোর রাতে বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায়। থরথর করে কেঁপে ওঠে মাটি। আতঙ্কে সকলে বাইরে আসে। দেখা যায়, কালো ধোঁয়া আর ছাই বের হচ্ছে আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে। এরপর লাগাতার বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে। জ্বালামুখ থেকে ঘন কালো ধোঁয়া, ছাইয়ের স্তর বেরিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ঢেকে ফেলেছে।

Indonesia's Volcanology and Geological Hazard Mitigation Centre said on its website that the area near the volcano is likely to be inundated with 'hot clouds, lava stream, lava avalanche, and poisonous gas'

The Mount Ile Lewotolok volcano in the East Nusa Tenggara province of the Lesser Sunda Islands has left 2,780 people fleeing from 26 villages, officials have said

ইন্দোনেশিয়ায় আরও এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাংকে নিয়েও সতর্কতা জারি হয়েছে। আগস্ট মাসেই একবার ফুঁসে উঠেছিল সিনাবাং। উত্তর সুমাত্রার কারো উপত্যকায় লেক টোবা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। ৮ হাজার ৭০ ফুট উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরির সংলগ্ন এলাকাকে রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঝে মাঝেই ফুঁসে ওঠে মাউন্ট সিনাবাং। প্রবল বেগে গ্যাস ও পোড়া ছাই উদ্গীরণ করে। ২০১০ সালের অগস্টেই ভয়ঙ্কর তাণ্ডব শুরু করে সিনাবাং। লাগাতার বিস্ফোরণ, প্রবল বেগে লাভাস্রোত, ধোঁয়া বেরিয়ে আসে আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে। বাতাসে দেড় কিলোমিটার অবধি ছড়িয়ে পড়ে গ্যাস-ছাইয়ের স্তর। ৬ হাজার গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় নিরাপদ স্থানে। আগ্নেয়গিরির সংলগ্ন এলাকাকে রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৩-১৪ সালে ফের অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় মাউন্ট সিনাবাং। ২০১৬ সালে আরও ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় সাত জনের মৃত্যুর খবর মেলে।

-দি ওয়াল