Home Second Lead আমাদের হ্যামিলনের বংশীবাদক

আমাদের হ্যামিলনের বংশীবাদক

আবদুল আজীজ

১৭ মার্চ ১৯৭৫। সোনাঝরা রোদ্দুরের ঝিকিমিকি নাচন গণভবনের সবুজাভ ঘাসের ডগায়। গাছের শাখায়, পাতায় পাতায় বাতাসের হিল্লোল।

ভিনদেশি কূটনীতিকদের উষ্ণ উপস্থিতিতে গণভবনের দরবার হলটা কানায় কানায় পূর্ণ। জন্মদিনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন তারা। বঙ্গবন্ধু, মন্ত্রী, সচিব-প্রায় সবাই উপস্থিত। কুশল বিনিময় চলছে। রাষ্ট্রদূতরা প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এরই মধ্যে ঝাঁকঝাঁক ক্ষুদের কচি কচি পদধ্বনি আর কলগুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠল গণভবনের বিশাল প্রাঙ্গণ! ওরা ভিনদেশি নয়। ওরা বাংলাদেশের আগামী কর্ণধার। হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণোদ্দীপ্ত শিশু-কিশোর। ওরা সারি বেধে দাঁড়ালো গণভবনের লনে। সবুজ ঘাসের গালিচায়। ওরা খেলাঘর, কচিকাঁচার মেলা, গার্লস গাইড ও বয়স্কাউটের সদস্য। ওরা যার যার সংগঠনের পোশাকে সুশোভিত। ওদের চোখে মুখে আগামীর রুপালি স্বপ্ন।

বঙ্গবন্ধু খবর পেয়েই ছুটে এলেন তার আমন্ত্রিত ক্ষুদে অতিথিদের মাঝে, বিদেশি কূটনীতিকদের গণভবনের হলরুমটায় বসিয়ে রেখেই। নিয়ম-কানুনের বেড়াজাল ছিঁড়ে, প্রোটকলের সীমানা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু শিশুদের সঙ্গে মিশে গেলেন। আদর করলেন সারিবদ্ধ শিশুদের। প্রাণোচ্ছল শিশু কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে আত্মহারা হয়ে পড়ল। ওরা বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিল ওদের হৃদয়ের অর্ঘ্য-ফুলের ডালি, গলার স্ফার্ক, মাথার ক্যাপ। ওরা বঙ্গবন্ধুকে গান শোনাল। কামনা করল বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ কর্মময় জীবন। গণভবনের আঙিনা শিশু কণ্ঠের সুরের লহরীতে মুখর হয়ে উঠল। বিউগলের আওয়াজ আর ড্রামের তালে নেচে উঠল গণভবনের আকাশ-বাতাস-প্রকৃতি-সবকিছু।

সতেরো মার্চের সে দিনটা ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। দেশের জণগণ তাদের প্রিয় নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসবে এটাইতো স্বাভাবিক। ঘটলও তাই। ভোরের সোনালি আভা যখন ছড়িয়ে পড়ল পূবের আকাশে, অগণিত মানুষ তখন বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ির প্রাঙ্গণে এবং বাড়িসংলগ্ন রাস্তায় এসে সমবেত হতে থাকল বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো। শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ-কেউ বাদ গেল না। উপচেপড়া জনসাধারণের হৃদয়ার্ঘ্যরে জবাবে বঙ্গবন্ধু বাড়ির দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সবাইকে অভিনন্দন জানালেন। অত্যন্ত অনাড়ম্বর অথচ গভীর আন্তরিকতায় সিক্ত সে অভিনন্দন।

বাকশালের রাজনৈতিক অফিসে এলেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, লেখক-বুদ্ধিজীবী, সুধীসমাজ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বঙ্গবন্ধু।

রাষ্ট্রীয় আয়োজনে বিদেশি কূটনীতিক এবং দেশের আগামী কর্ণধার শিশু কিশোরেরা বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দিত করতে এলো বঙ্গবন্ধুর সরকারি বাসভবন গণভবনে। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠনগুলোর ব্যানারে সেদিন সহ¯্রাধিক শিশু-কিশোর সমবেত হয়েছিল গণভবনে। প্রত্যেক সংগঠনের পক্ষে শিশু-কিশোরদের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন দু’তিনজন করে শিশুসংগঠক। বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত আনোয়ার (পরবর্তীতে দৈনিক বাংলার চিফ রিপোর্টার), সাজ্জাদ জহির (পরবর্তীতে এফডিসির পরিচালক) এবং আমি সেদিন গণভবনে গিয়েছিলাম খেলাঘরের দুই শতাধিক ভাইবোনের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়ে।

কাকতালীয়ভাবে সেদিন একটা ঘটনা ঘটেছিল। যখন বঙ্গবন্ধু গার্লস গাইডের সদস্যদের সামনে এলেন। গার্লস গাইডের বোনেরা বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলল, ‘তুমি আমাদের আর্শীবাদ করো যেন আমরা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলার সোনার মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারি।’ ঠিক সেই মুহূর্তেই একটু দূরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা খেলাঘরের ভাইবোনেরা গেয়ে উঠলো- ‘আমরা সোনার দেশের সোনার ছেলে গড়ব সোনার দেশ।’ বঙ্গবন্ধু অবাক বিস্ময়ে বলে উঠলেন, ’বাহ্ বাহ্ চমৎকার। তোদের মুখের কথাটা ওরা কিভাবে কেড়ে নিয়ে গেল!’ বঙ্গবন্ধু গানের ছন্দে হাত তালি দিতে দিতে খেলাঘরের ভাইবোনদের কাছে চলে এলেন। ভাইবোনেরা বঙ্গবন্ধুকে পরপর তিন/চারটি গান শোনাল। ওরা গাইল- ‘আমরা রক্ত দিয়ে দেশ এনেছি, দেশ আমাদের প্রাণ।’ ‘মানুষে মানুষে জাতিতে জাতিতে চলো সেতু গড়ি’, ‘আমরা তো সৈনিক শান্তির সৈনিক অক্ষয় উজ্জ্বল সূর্য…।’ অতঃপর খেলাঘরের ছোট্ট এক বোন বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে বলল ‘আমি তোমার গলায় আমাদের স্ফার্ফ পরাব।’ বঙ্গবন্ধু খুশি হয়ে বললেন, ‘বেশতো, পরা’। বিশাল উচ্চতার বঙ্গবন্ধু শিশুর মতো হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন খেলাঘরের ক্ষুদে বোনের প্রাণছোঁয়া উপহার নিতে। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম-লীর সদস্য শওকত আনোয়ার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে খেলাঘরের ক্ষুদে বোনটির পরিচয় করিয়ে দিলেন। খেলাঘরের বোনটি ছিল গোদনাইল শিল্প এলাকার একজন শ্রমিকের সন্তান। বঙ্গবন্ধু সেদিন যতক্ষণ গণভবনে ছিলেন শ্রমিকের সন্তানের পড়িয়ে দেয়া উপহার রক্তলাল স্ফার্ফটি এক মূহূর্তের জন্যও খুলে রাখেন নি।

বঙ্গবন্ধু সেদিন শিশুদের মেলায় মিশে গিয়েছিলেন অতি সাধারণভাবে। শিশুরাও ভুলে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু কতো বিশাল মাপের মানুষ। মনে হলো, বঙ্গবন্ধু যেন ওদের কত দিনের পরিচিত, একান্ত আপনজন- কাছের মানুষ।

সহসা শিশুদের একজন কলম, নোটবুক এগিয়ে দিল অটোগ্রাফ পাওয়ার আশায়। বঙ্গবন্ধু হাসিমুখে অটোগ্রাফ দিলেন। আর যায় কোথায়। অটোগ্রাফ শিকারির দল লাইন ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে ধরল। বঙ্গবন্ধু একে একে সবাইকে অটোগ্রাফ দিতে থাকলেন, একটি শিশুকেও বিমুখ করলেন না। অথচ সে সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে উপস্থিত মন্ত্রীদের অনেককেই দেখেছি শিশুদের অটোগ্রাফ দেননি, এড়িয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ভাইবোনদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন তখন ওদের সারিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলায় রাখা আমাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে উঠছিল। ভাইবোনদের আমরা কড়া শাসনে রেখেছিলাম লাইন না ভাঙার জন্য। হঠাৎ ব্যাপারটা বঙ্গবন্ধুর চোখে পড়ল। বঙ্গবন্ধু আমাকে ইশারায় ডাকলেন। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতেই তিনি আমার পেটের চামড়া চিমটে ধরলেন। চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘ওরা শিশু, ওদের এত শৃঙ্খলা কিসের? এতক্ষণ ধরে যে ওরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে এটাইতো বেশি। ওদের এখন খেলার বয়স, চঞ্চলতার বয়স।’

বঙ্গবন্ধু শিশুদের সহসা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন ‘এই তোরা সবাই খেলা কর। এই গণভবন তোদের। তোরা সারাক্ষণ আনন্দ কর। কেবল দেখিস আমার চারাগাছগুলো নষ্ট করিস না।’ শিশুরা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন ভেঙে ছুটাছুটি শুরু করল। ওরা প্রিয়তম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর কাছে ছুটে গেল। বঙ্গবন্ধুও খুশি। তিনি শিশুদের শুধালেন ‘তোরা মাছ দেখবি?’ শিশুরা আনন্দে সমস্বরে বলে ঊঠল, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ’। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘চল তোদের মাছ দেখাই।’ বলেই তিনি গণভবনের পূর্ব পাশ ঘেষে তৈরি পাড় বাঁধানো পুষ্করিণীর দিকে এগিয়ে চললেন। শিশু-কিশোরেরা মহা আনন্দে, হৈ-হুল্লোড় করতে করতে বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করল। সামনে বিশাল দেহী বঙ্গবন্ধু, পেছনে ক্ষুদে সৈনিকের দল। মনে হচ্ছিল যেন হ্যামিলনের বংশীবাদক বাঁশি বাজিয়ে এগিয়ে চলছেন, পেছনে চলছে বাংলাদেশের অযুত শিশু-কিশোরের দল।

পুকুরের পাড়ে গিয়ে বন্ধুবন্ধু তিনবার হাততালি দিলেন। বিরাটকায় মাছগুলো তখন পুকুর পাড়ের দিকে ছুটে এলো। তিনি পানিতে হাত রাখলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতকে ঘিরে তখন মাছগুলো খেলা করতে শুরু করল। শিশুরা আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠল। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘দেখরে মাছও কথা শোনে। কিন্তু মানুষকে সহজে কথা শোনানো যায় না রে।’ মাছদের খেলা দেখার জন্য পুকুরের পাড়ে শিশুরা সব হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে ঘিরে রাখা দেহরক্ষীদের বললেন, ‘তোরা এখানে আমাকে কেন পাহারা দিচ্ছিস। দেখছিস না শিশুরা ছুটাছুটি করছে। ওদের পাহারা দে, যাতে একটি শিশুও পুকুরে পড়ে না যায়। তোদের গাফিলতিতে যদি কোন একটি শিশুও পুকুরে পড়ে যায় তবে দেখিস তোদের কারও চাকরি থাকবে না।’

মাছেদের খেলা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু শিশুদের নিয়ে পুনরায় ফিরে এলেন গণভবনের সবুজ লনে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রশ্ন করলেন, ‘তোরা বলতে পারিস মাছ কে চুরি করে খায়?’ মূহূর্তে শিশুরা উত্তর দিল, ‘বগা মাছ খায়’। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আর বগা যখন ফান্দে পড়ে তখন কি করে?’ শিশুরা সমস্বরে বলে উঠল, ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে।’ বঙ্গবন্ধু তখন সুর করে গান ধরলেন ‘আজি ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে।’ শিশুরাও খুশিতে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে কণ্ঠে মিলালো। গান থামিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আজ বগাকে আমি ফাঁদে ফেলেছিরে। বগা আজ আর চুরি করে মাছ খাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারছে না। বগা খুব বিপদে আছে রে।’

শিশুদের সঙ্গে খেলায় মেতে বঙ্গবন্ধুও যেন শিশু হয়ে গেলেন। রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুন-প্রোটোকল সব শিশুদের রাজ্যে বিলীন হয়ে গেল। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম মাত্র পনেরো মিনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল শিশুদের জন্য। অথচ বঙ্গবন্ধু সঙ্গে মন্ত্রীদের পীড়াপীড়িতে পুনরায় যখন অপেক্ষমান কূটনীতিকদের কাছে গেলেন তখন দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।

এবার বিদায় নেয়ার পালা। শিশুরা স্ব-স্ব সংগঠনের আওতায় জড়ো হলো। সারি বাঁধলো পুনর্বার। ওরা যখন অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে গণভবন ত্যাগ করছিল তখন আরেকবার বঙ্গবন্ধু বেরিয়ে এলেন শিশুদের বিদায় জানাতে। শিশুদের বিদায় না দেয়া পর্যন্ত যেন স্বস্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু গণভবনের প্রধান গেইটের দিকে এগিয়ে এলেন। সহসা বঙ্গবন্ধুর নজরে পড়ল গণভবনের ভেতরের রাস্তায় দু’একটা গাড়ি এদিক সেদিক চলছে পিলপিল করে। বঙ্গবন্ধু তখন হঠাৎ করে হুংকার দিয়ে উঠলেন। বললেন, ‘একটা শিশুও যতক্ষণ গণভবণে থাকবে ততক্ষণ কোন গাড়ির চাকা ঘুরবে না। -এটা প্রেসিডেন্টের অর্ডার।’ মূহূর্তে গণভবনের ভেতরকার সব গাড়ি -যেটা যেখানে ছিল, ঠায় দাঁড়িয়ে গেল।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সেদিন বেশ কয়েকটি প্রতীকী ঘটনার অবতারণা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় বাসভবন-গণভবন। এই গণভবনে তিনি বিদেশি কূটনৈতিক এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশের শিশুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করলেন। দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকরাই যে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তার প্রমাণ দেখালেন। বঙ্গবন্ধু তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসারদের নিয়োজিত করলেন শিশুদের নিরাপত্তার কাজে, যেন একটি শিশুও অসাবধানতাবশত পুকুরে পড়ে না যায়।

বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করলেন বঙ্গভবনের ভেতরে চলমান গাড়ির চাকা বন্ধ করার জন্য, যেন সামান্যতম দুর্ঘটনারও আশঙ্কা না থাকে কোন শিশুর। প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যে শিশুসমাজ সেটাই সেদিন প্রমাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

গণভবনে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা চারাগাছগুলো যেন আমাদের সদ্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতারই মূর্ত প্রতীক। আর বঙ্গবন্ধুর মাছ শিকারের গল্পের ‘বগা’তো আসলে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র।

১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চের সেই সোনাঝরা দিনটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় শেষ জন্মদিন।

আবদুল আজীজ

সাবেক সাধারণ সম্পাদক

খেলাঘর আসর, কেন্দ্রীয় কমিটি।