Home চট্টগ্রাম আমি সৎ রোজগারের উপর নির্ভরশীল: এলজিইডি মন্ত্রী

আমি সৎ রোজগারের উপর নির্ভরশীল: এলজিইডি মন্ত্রী


বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: বিলিয়ন, মিলিয়ন টাকা অবৈধ পথে আয়ের সুযোগ থাকলেও আমি এখনো চেষ্টা করি নিজেকে সব দিক থেকে স্বচ্ছ রাখতে।’ 
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম শুনিয়েছেন তার সৎ থাকার গল্প। সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠেও বারবার সাংসদ হওয়া ও সরকারের সবচেয়ে বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেও তিনি সততাকে ধরে রেখেছেন সেই গল্প শুনিয়েছেন মন্ত্রী। 
কুমিল্লার লাকসাম-মনোহরগঞ্জের এ সাংসদের সফলতা ও সততার পেছনে অনুপ্রেরণা তার পিতার আদর্শই কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলের মোহনা হলে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চট্টগ্রাম কসমোপলিটন আয়োজিত ‘চেইন হ্যান্ডওভার সিরোমনি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ধনী পরিবারের সন্তান নই। পারিবারিকভাবে আমি কোনো ধন-সম্পদ পাইনি। কিন্তু আমি গরীব মানুষ নই। আমার বাবা অত্যন্ত আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। আমার বাবা-মা গ্রামে থাকতেন, গ্রামে আমার জন্ম হয়েছে। আমার বাবা কলেজে চাকরি করতেন। আমি যখন স্কুলে পড়ছি, তিনি অবসর নিয়েছেন। আমাদের আয়ের মূল উৎস ছিল কৃষি। তা দিয়ে সংসার কোনমতে চলতো।’
‘প্রথম রোজগার করে আমি বাবার হাতে ১০০ টাকা দিয়েছিলাম। ওনি খুশি হলেন, হঠাৎ করে মুখটা কালো করে ওনি বললেন, বাবা তোমরা বড় হয়েছো, রুজি-রোজগার করবা, সন্দেহ থাকলে এই টাকা আমাকে দিও না। আমার জমি-জমা যা আছে তার কিছু অংশ বিক্রি করে খেয়ে গেলেও আমার বাকি জীবন চলে যাবে। আমি সারাজীবন ভালো ও সৎ রোজগারের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। বাকি জীবন আমি অসৎ রোজগার থেকে মুক্ত থাকতে চাই, যোগ করেন মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তখন বাবা ছাড়া আমার আর কেউ নেই যে টাকা দিতে হবে। শুধু বাবাকে দেয়ার জন্য আমার টাকা রোজগার করা। বাবার প্রতি আমার সর্বোচ্চ ইমোশন ও শ্রদ্ধা কাজ করতো। ১০ টাকাও যদি রোজগার করতে পারি সেটা বাবাকে দিতে পারলে তিনি খুশি হবেন-এটা আমার কাছে ছিল আবেগের বিষয়। আর এই টাকাটা যদি অসৎ পথে রোজগার হয় তাহলে বাবাকে দিলে তিনি মনে কষ্ট পাবেন। কারণ তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন।’