বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ল্যান্ডফল তথা মাটিতে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বিকেল ৪ টা নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একেবারে উপকূল অঞ্চলে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার।
এই মুহূর্তে কলকাতা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রায় ১০০ কিমি বেগে ঝড়। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। গাছ পড়েছে গড়িয়াহাটে। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনেও গাছ পড়ে গিয়েছে। কলকাতার পূর্ণদাস রোড বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যে সময়ে আন্দাজ করা গিয়েছিল, সেই সময়েই শুরু হয়েছে ল্যান্ডফল। এর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে নানা ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে।
এই সাইক্লোন একটা বিশাল স্ট্রাকচার। এর একটি আই তথা চোখ রয়েছে। তার বাইরে রয়েছে ওয়াল ক্লাউডের আস্তরণ। তার বাইরে একটা আউটার পেরিফেরি থাকে। প্রথমে ফরওয়ার্ড সেকশন যাবে। তার পর আই তথা চোখ যাবে। তার পর শেষ অংশটা আছড়ে পড়বে মাটিতে। তাই অন্তত চার ঘণ্টা ধরে চলবে এই ল্যান্ডফল। এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিঘা ও সাগরদ্বীপের উপকূল এলাকায় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে দ্রুত। সেইসঙ্গে ঝড়ের গতিবেগও বাড়ছে তুমুল ভাবে। ঝড়ের ধাক্কায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁচা ঘরবাড়িও ভেঙেছে বেশ কিছু। ঝড়ের প্রভাবে গাছ পড়েছে কলকাতাতেও। নামখানা, নারায়ণপুর, কাকদ্বীপে বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়েছে, উড়ে গেছে টিনের চাল। উপড়ে পড়েছে গাছ। কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, এখনও জানা যায়নি। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাটে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে সুপার সাইক্লোন।
ঘূর্ণিঝড় উমফানের ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ল্যান্ডফল তথা মাটিতে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দুপুর আড়াইটা নাগাদ। বিকেল ৪ টা নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একেবারে উপকূল অঞ্চলে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলে ও দীঘায় ঝড়ের গতি তীব্র হচ্ছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ঝড়ের তীব্রতা এখনও ঘন্টায় দেড়শ কিলোমিটার রয়েছে। দীঘা কন্ট্রোলরুম থেকে জানা গিয়েছে সেখানে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি। সোঁ সোঁ করে হাওয়ার আওয়াজ হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা, নন্দীগ্রামে।
ইতিমধ্যেই ঝড়ের ধাক্কায় দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁচা ঘরবাড়িও ভেঙেছে বেশ কিছু।