মোডার্না জানিয়েছে, মেসেঞ্জার আরএনএ বা বার্তাবহ আরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে তৈরি টিকা কয়েক বছর অবধি সুরক্ষা দিতে পারবে। টিকার ডোজে তৈরি অ্যান্টিবডি বহুদিন টিকবে বলেও দাবি এই মার্কিন ফার্মা জায়ান্টের।
মোডার্নার চিফ একজিকিউটিভ অফিসার স্টিফেন বানসাল জানিয়েছেন, করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্ক বাড়ছে বিশ্বে। ব্রিটেন থেকে এই মিউট্যান্ট স্ট্রেন বি.১.১.৭ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কও বাড়ছে। বানসালের দাবি, মোডার্নার টিকা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে।
এমআরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে তৈরি এই ভ্যাকসিনের নাম এমআরএনএ–১২৭৩ (mRNA-1273)। এই ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজ (NIAID)-এর ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের (VRC) বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে। এমআরএনএ হল শরীরের বার্তাবাহক। এর কাজ কোন কোষে প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, কোথায় কী রাসায়নিক বদল হচ্ছে সবকিছুর জিনগত তথ্য বা ‘জেনেটিক কোড’ জোগাড় করে সেটা শরীরের প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। তাই এই বার্তাবহ আরএনএ দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন শরীরের কোষগুলিকে অ্যান্টি-ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করতে উৎসাহ দেবে। এই ভ্যাকসিন মানুষের দেহকোষে ঢুকে করোনাভাইরাসের মতো প্রোটিন তৈরি করার নির্দেশ দেবে। সেই প্রোটিনের বাইরে খোলসটা হবে ঠিক সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের মতোই। অথচ করোনার মতো অতটা সংক্রামক নয়। দেহকোষ তখন এমন ধরনের প্রোটিন দেখে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, শরীরের মেমরি বি-সেল এই ধরনের প্রোটিনকে চিনে রাখবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে শরীরে।
সিইও স্টিফেন বানসাল বলছেন, টিকার ডোজ শরীরে ঢুকে কাজ করতে কিছু সময় লাগে। দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার অন্তত ২১ থেকে ২৮ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। আরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি টিকার ডোজে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হবে শরীরে। এই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব বহুদিন থাকবে বলে দাবি। টিকার ডোজে তৈরি মেমরি-বি সেল কয়েক বছর অবধি সংক্রামক প্যাথোজেন থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক