বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কক্সবাজার: মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও সমারিক জন্তার মধ্যে সংঘর্ষে সীমান্ত-বাণিজ্য ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৩ মাস ধরে কোন পণ্য আসতে পারছে না। কেবল রাখাইনের মংডু থেকে আসছে স্বল্প পরিসরে। তবে, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
ইয়াঙ্গুন থেকে আমদানিতে আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হয়। এটাই সেখান থেকে পণ্য আনতে প্রধান অন্তরায়। টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহাদুর এই তথ্য জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরে এক বছর ধরে আরাকান আর্মি ও দেশটির সমারিক জন্তার মধ্যে সংঘর্ষে সীমান্ত-বাণিজ্যে বড় সংকট তৈরি করেছে।
তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের তিনটি পণ্যবাহী জাহাজ ইয়াঙ্গুন শহর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে আসার পথে আরাকান আর্মি রাখাইনের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে তাদের আটকে দেয়। এরপর থেকে ইয়াঙ্গুন শহর থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রাখাইনের মংডু থেকে খুব সীমিত পরিসরে কাঠ আসছে। আর এখান থেকে রপ্তানি হচ্ছে, আলু ও পানি জাতীয় পণ্য। এতে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। যদি আমরা ইয়াঙ্গুন শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করার সময় দেশটির সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছি। কিন্তু আবার আরাকান আর্মিকে কী করে ট্যাক্স দেব। এই বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার।
ইয়াঙ্গুন শহর থেকে জাহাজ আসার সময় রাখাইনের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্ত দিয়ে আসতে হয়। তার কারণ হলো-বাংলাদেশ সীমান্তের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর ঘোলার চরের কারণে জাহাজ আটকে যায়। এক্ষেত্রে সেন্টমার্টিনের বাহির থেকে ঘুরে শাহপরীর দ্বীপে জাহাজগুলো ঢুকতে পারলে আরাকান আর্মি সমস্যা করতে পারবে না।
টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্ত আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যে ধস নেমেছে। গত তিন মাসে ইয়াঙ্গুন শহর থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।