বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: রিয়াজউদ্দিন বাজারে আড়তে মূল্য তালিকায় আলুর দাম দেখানো হয়েছে কেজি ৩০ টাকা, প্রকৃতপক্ষে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। আর অদূরে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও ৪৫ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে সরকার খুচরা দর প্রতিকেজি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তার আগে করা হয়েছিল ৩০ টাকা । আপত্তির মুখে ৫ টাকা বাড়ানো হয়। কিন্তু এরপরও কোথাও খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দরে পাওয়া যাচ্ছে না আলু।
শনিবার ২৪ অক্টোবর রিয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আড়তে বস্তায় বস্তায় আলু। খুচরা দোকানিদের কাছেও রয়েছে আলু। অর্থাৎ কোথাও সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু ন্যায্য দরে বিক্রি হচ্ছে না।
খুচরা দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আড়তে দর বেশি। সরকার যে দর ঠিক করে দিয়েছে সে দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাছাড়া, আড়ৎ থেকে কেনার পর আছে পরিবহণ খরচ, উঠানো নামানো খরচ।
কোন কোন আড়তে আলুর দাম কেজি ৩০ টাকা বলে মূল্য তালিকা দেয়া হয়েছে। তবে, সে দামে বিক্রি হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান থেকে রক্ষা পেতে এই কৌশল নেয়া হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আলু পাঠান। আড়তদাররা কেজি প্রতি নির্দিষ্ট হারে কমিশনে বিক্রি করেন। শনিবারও ১২ ট্রাক আলু এসেছে আড়তে।
মেসার্স কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়ের মো: সৈকত আলুর দাম বাড়ার পেছনে মুন্সিগঞ্জের মজুতদারদের দোষারূপ করেন।
বলেন, দাম বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা কমিশনে বিক্রি করি।
সরকার নির্ধারিত দরে পাওয়া না গেলেও আড়তে দর কিছুটা কমেছে। বাড়তি দরে কিনে যেসব খুচরা দোকানি মজুত রেখেছিলেন তারা কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি করছেন। আর পরবর্তীতে যা কিনেছেন তারা বিক্রি করছেন ৪২/৪৪ টাকা দরে।