বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ১১টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে আটটিই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।
ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনা স্থান পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে ফায়ার ফাইটার, ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার টিম ছিল না। ১১টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে মাত্র তিনটির মেয়াদ ছিল। অন্য আটটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।’
বলেন, ‘হাইড্রেন্ট কে চালাবে, কে কাজ করবে, কার দায়িত্ব এগুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।’ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাবৃন্দ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে মানুষ ভর্তি হয় আরোগ্য লাভ করার জন্য। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে তারা এখানে অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা গেলেন।’ সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফায়ার সেফটির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র।
বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন রোগী মারা গেছেন। নিহত চার পুরুষ রোগী হলেন- মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মো. মনির হোসেন (৭৫), ভেরনন অ্যান্থনী পল (৭৪) ও রিয়াজউল আলম (৪৫)। নিহত একমাত্র নারী রোগী হলেন খোদেজা বেগম (৭০)। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডাক্তার-নার্সদের কেউ হতাহত হয়নি।
নিহত ভেরনন অ্যান্থনী পল চট্টগ্রামের মোমিন রোড এলাকার বাসিন্দা এবং হার্টের রোগী। তার পারিবারিক সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় মি. পলকে সেখানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তিনি করোনাক্রান্ত ছিলেন না। আত্মীয় স্বজনদের কয়েকজন ঔষধ আনতে গিয়ে হাসপাতালের কাছে পৌঁছতে সেখানে আগুন লাগে। আর বাইরে থেকে সেই মর্মান্তিক দৃশ্য তাদেরকে দেখতে হয়েছে।