বিজেনসটুডে২৪ ডেস্ক
কোভিড অতিমহামারী) শুরু হওয়ার পরে তার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল ইউরোপ। এক বছর বাদে ফিরে আসছে সেই পরিস্থিতি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে।
নেদারল্যান্ডসে শুরু হয়েছে লকডাউন। তার প্রতিবাদ হচ্ছে নাগরিক সমাজের নানা মহল থেকে। গত শুক্রবার সেই প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। জনতার উদ্দেশে জলকামান ছোড়ে। দু’জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
জার্মান সরকার জানিয়েছে, শুধু ভ্যাকসিন দিয়ে অতিমহামারী রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অগত্যা লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট রবিবার জানিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার জন। মারা গিয়েছেন ৭৫ জন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহনকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাদের সরকারও কি অস্ট্রিয়ার মতো পুরোদস্তুর লকডাউন করার কথা ভাবছে?
তিনি বলেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, “আমরা এখন জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি”।
একটি উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডের ফলে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। অর্থাৎ গর্ভবতী মহিলাদের মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কোভিড সংক্রমণের জেরে। গবেষকরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবে মহিলাদের মধ্যে স্টিলবার্থের সম্ভাবনা যা থাকে, কোভিড সংক্রমণে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কোভিড যেন এতে অনুঘটকের কাজ করে। করোনা ভাইরাসের ডেলটা প্রজাতিই এই স্টিলবার্থের পিছনে অন্যতম কারণ।
আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসনের এই বিশ্লেষণ ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১২ লক্ষ প্রসবের তথ্য নিয়ে করা হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত স্টিলবার্থ বেশ বিরল ঘটনা ছিল আমেরিকায়।
যে সমস্ত মায়েরা কোভিড পজিটিভ, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে। এছাড়া এই সব মহিলাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের মতো রোগও ছিল। তবে করোনার কারণেই এই স্টিলবার্থ বেড়েছে বলে দাবি গবেষকদের।