বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিঘি
কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য দেশীয় অস্ত্রসহ সাংবাদিকদের মারতে এসে আটক হয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কাব্যকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এরআগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে সাংবাদিকদের মারতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশ।
কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার ঘোষগাতি গ্রামের ইয়াকুব হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, সোমবার রাতে প্রধান ফটকে মাদকাসক্ত অবস্থায় ট্রাকচালকের টাকা ছিনতাই করেন ছাত্রলীগ কর্মী কাব্য ও আল আমিন। পরে এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হয়ে রামদা হাতে বিকেলে ক্যাম্পাসে মহড়া দেন কাব্য। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম সেলিম ও সাংবাদিকদের খুঁজতে থাকেন। এ সময় তার সাথে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহবুব, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাসিন আজাদ ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আসাদকে দেখা যায় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামদা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে আসেন কাব্য ও তার সহযোগীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম, ড. মুর্শিদ আলম, ড. আমজাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম জুয়েল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ইবি থানা পুলিশ কাব্যকে রামদাসহ আটক করে।
এ ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাব্যকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। একইসাথে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান ও উপ-রেজিস্ট্রার আলিবর্দী খান।
এছাড়াও, এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের জন্য ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আবেদন পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইবি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আটকের পর কাব্যকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় মামলা করে কুষ্টিয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।