বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। ২৪ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ৩৭ এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন। স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি রয়েছে শঙ্কাও।
২৪ পৌরসভার মধ্যে ২৩টিতেই বড় এ দুদলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নেই। কয়েকটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও মাঠে রয়েছেন।
ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচনি এলাকায় পরিবেশ ও পরিস্থিতি ভালো। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে রয়েছে। কোনো ধরনের অভিযোগের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ইভিএমে ভোটের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবার পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে ৯৩, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভার জন্য এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১০ হাজারের বেশি ভোটারের পৌরসভার জন্য দুই প্লাটুন এবং ৫০ হাজারের বেশি ভোটারের জন্য তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছেন। বিজিবিতে প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে থাকেন।
এ নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১১ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
যেসব পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করছে কমিশন। এরমধ্যে তিন ধাপে ১৫০টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম এবং ৩২ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।
আর তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে সর্বশেষ তফসিল দেওয়া হয়েছে। বাকি যেসব পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হচ্ছে, সেসব এলাকায় চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে।