বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বৃহস্পতিবার লংমার্চ চলাকালীন আততায়ীর গুলিতে জখম হওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । লাহোরের হাসপাতাল থেকেই একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তিনি জানালেন, তিনি আগে থেকেই জানতেন, তাঁকে প্রাণে মারার জন্য হামলা চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিল চলাকালীন প্রাক্তন পপ্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক যুবক। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সে গুলি গিয়ে লাগে ইমরানের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই লাহোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুক্রবার হাসপাতাল থেকেই একটি ভিডিও বাট্টা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই ভিডিওতে হাসপাতালের নীলরঙা পোশাকে পায়ে প্লাস্টার নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে প্রাক্তন এই ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদকে। ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে লক্ষ্য করে চারবার গুলি ছোড়া হয়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আক্রমণের ঘটনা ঘটার একদিন আগে থেকেই আমি জানতাম, হয় ওয়াজিরাবাদ, নয়তো গুজরাতে ওরা আমাকে খুনের ছক কষেছে।’
এর আগেই এই ঘটনায় পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলাম দলের প্রধান ইমরান। তাঁর দাবি, শরীফ ছাড়াও এই আক্রমণের ঘটনায় হাত রয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং মেজর জেনারেল পয়জল নাসিরের। ইমরানের এই অভিযোগের কথা একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ইমরান-ঘনিষ্ঠ আসাদ উমর। এরপর অবশ্য ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি নিজেই সামনে এলেন।
প্রসঙ্গত এই বছরের এপ্রিল মাসেই ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ইমরান খান ও তাঁর দল পিটিআই। তারপর থেকেই ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে সরানোর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশ করছিল পিটিআই। সম্পত্তি সে দেশের উপনির্বাচনে সাফল্যও পেয়েছিল ইমরানের দল। তারপর আরও জোরকদমে চলছিল মিছিল ও সভা সমিতি। বৃহস্পতিবারের লংমার্চ ছিল তারই অংশ। সেখানেই এক যুবক ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আপায়ে গুলি লাগায় আহত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাস্থালির মৃত্যু হয় তাঁর এক সমর্থকের। দলের নেতা সহ আরও ১৩ জন আহত হন সেই ঘটনায়। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে।