Home জাতীয় উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রিতে সময় বাড়ল

উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রিতে সময় বাড়ল

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে এখনও অনেক শিক্ষার্থী তথ্য এন্ট্রিকরে সার্ভারে দিতে পারেনি। বাদ পড়া শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিতে চতুর্থ দফায় আরও ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা ডাটা এন্ট্রি করতে পারবে বলে জানানো গেছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর কিস্তির সুবিধাভোগীর ডাটা এন্ট্রির জন্য নগদ পোর্টাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রথম কিস্তির ডাটা এন্ট্রির পর দ্বিতীয় কিস্তির ডাটা চালু হবে।

এর আগে ৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে এ শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি জন্য চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় শিক্ষা অফিস, জেলা অফিসে তা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ম ও ২য় কিস্তির সুবিধাভোগীদের তথ্য উপবৃত্তি ‘নগদ’ পোর্টালে আপলোডের জন্য ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময়সীমা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।

এতে আরও বলা হয়ে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের চতুর্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন ২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় প্রথম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও দ্বিতীয় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুইটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এজন্য এখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।

এ বিষয়ে কোনো সমস্যা বা অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা অথবা নগদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, গেল বছরের দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়া টাকা গেল মাসে বিতরণ করা শেষ হয়েছে। যাদের তথ্যে ত্রুটি আছে তাদের এ কিস্তির টাকা দেওয়া হয়নি। তবে তথ্য আপডেট করলে পরবর্তী কিস্তির টাকা পাবে। সার্ভারে শতভাগ তথ্য আপলোড করা না হলে কাউকে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি জানান, চলতি মাসের ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত নতুন করে তথ্য আপলোডের সুযোগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য আপলোড করা হলে পরবর্তী সময়ে উপবৃত্তির টাকা পাবে।

গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর উপবৃত্তি বিতরণের দশমিক ৭৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ ধরে ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক উপবৃত্তি প্রকল্প।

চুক্তি অনুযায়ী, জিটুপি (সরকার টু পাবলিক) পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে নগদ। উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ডাটা এন্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করে নানা জটিলতায় পড়েন শিক্ষক-অভিভাবকরা।