বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: সাভারে স্থানান্তরিত চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যে সব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা অব্যাহত রাখতে সমর্থ নয়- তাদের জন্য এক ধরনের সুবিধা; আর যারা ব্যবসা অব্যাহত রাখবে- তাদের জন্য ভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে সকল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, যে সকল চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসা অব্যাহত রাখতে সমর্থ নয়, সে সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিন্মোক্ত এক্সিট পলিসির আওতায় ব্যাংকের ঋণ/বিনিয়োগ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া যাবে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির ন্যূনতম ২% অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসাবে নগদে আদায় সাপেক্ষে এ সার্কুলারের আওতায় এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিতে যে সকল প্রতিষ্ঠানের ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত, সে সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং যে সকল প্রতিষ্ঠানের ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতি ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে, সে সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় দেওয়া যাবে।
বিদ্যমান বিধি-বিধান ও আইন-কানুন পরিপালন সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থগিত সুদ হিসাবে রক্ষিত সুদ, অনারোপিত সুদ ও দণ্ড সুদ মওকুফ বিষয়ে পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই আসল ঋণ/বিনিয়োগ মওকুফ করা যাবে না।
তবে, করোনাভাইরাসের কারণে নতুন সংকটে পড়েছে চামড়া খাত। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চামড়া ও চামড়াপণ্যের রপ্তানি কমেছে সাড়ে ১৬ শতাংশ।
করোনার কারণে বৈশ্বিক পর্যটন ৫৮ থেকে ৭৮ শতাংশ কমে যাচ্ছে, যা সরাসরি চামড়াপণ্যের বিক্রির নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সারা বিশ্বে চলতি বছর জুতা ক্রয় কমবে সাড়ে ২২ শতাংশ-এমন তথ্য দিয়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘মানুষ টাকা বাঁচিয়ে রাখছে ভবিষ্যতের জন্য। ফলে রপ্তানি বেশ কমেছে। আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে ২০২৫ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ৫০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়। তবে গত চার বছরে সেই লক্ষ্যের চেয়ে কেবলই পিছিয়েছে খাতটি। খাতটির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ৫ বছর মেয়াদি একটি কার্যকর পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু ইউসুফ।