Home চট্টগ্রাম একুশের নতুন চমকে মিমি সুপার মার্কেট

একুশের নতুন চমকে মিমি সুপার মার্কেট

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

* মার্কেটের সব দোকানে সব পণ্যে থাকবে ফিক্সড প্রাইসের ট্যাগ
* ক্রেতাদের সাথে দামাদামি করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ

*কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে মার্কেটের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তার সাথে এগিয়ে চলা মিমি সুপার মার্কেট এক সময় ক্রেতাদের চাহিদায় শীর্ষস্থানে ছিল। নানান অভিযোগ আর অনিয়মে ধীরে ধীরে জৌলুশ হারাতে থাকে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের পশ্চিম পার্শে বায়েজিদ বোস্তামী রোডে অবস্থিত এ মার্কেটটি।

তবে মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হারানো জৌলুশ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে বর্তমান পরিষদ।
আবারো জনপ্রিয়তার শীর্ষে উন্নীত হতে ও ক্রেতাসমাগমের লক্ষ্যে নানান কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে বলে জানান তিনি।

বিজনেসটুডে২৪ এর সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় জানালেন মিমি সুপার মার্কেটের ঐতিহ্য, ব্যর্থতা ও হারানো জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারে এগিয়ে চলার গল্প।

তিনি বলেন, মিমি সুপার মার্কেট শুধুমাত্র দেশেই জনপ্রিয় মার্কেট ছিল তা না। বিদেশেও সমান জনপ্রিয় ছিল। অনেক বিদেশি ক্রেতা এখনো এ দেশে আসলে শপিংয়ের জন্য মিমি সুপার মার্কেটেই চলে আসেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এই ঐতিহ্যবাহী মার্কেটের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং ক্রেতাসমাগম হারাতে থাকে।

৮ ফেব্রুয়ারি মার্কেটটির উত্তর পার্কিংয়ে ‘একুশের নতুন চমক’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ী সমিতির এক অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ মার্কেটটিকে ফিক্সড প্রাইসের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, আমার সমস্ত চিন্তা চেতনা এই মার্কেটকে ঘিরে। চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কিভাবে এই মার্কেটকে আবারো জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তাই একুশের নতুন চমক হিসেবে ক্রেতাদের সুবিধার্থে সম্পূর্ণ মার্কেটকে ফিক্সড প্রাইসের আওতায় আনার কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি। যাতে এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা কোন ক্রেতাকে পণ্যের দাম নিয়ে ঠকতে না হয় বা দরকষাকষি করতে না হয়। ইতোমধ্যে মার্কেটের সব দোকানেই সমস্ত পণ্যে ফিক্সড প্রাইসের ট্যাগ লাগানোর জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে কঠোরভাবে তদারকিও চলছে।

ফিক্সড প্রাইসের ঘোষণার পরেও কিছু কিছু দোকানে পণ্যের গায়ে ফিক্সড প্রাইসের ট্যাগ না লাগিয়ে ক্রেতাদের সাথে দরাদরির অভিযোগ উঠার ব্যাপারে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কিছু অসাধু দোকানদার ফিক্সড প্রাইসের ঘোষণার পরেও পণ্যের গায়ে ফিক্সড প্রাইসের ট্যাগ লাগাতে বিলম্ব করছে এবং এখনো ক্রেতাদের সাথে দামাদামি করার অভিযোগ পেয়েছি। এর সাথে সাথেই আমরা সেসব দোকানে অভিযান চালিয়েছি এবং আল্টিমেটাম দিয়ে এসেছি। যেহেতু দোকানের সমস্ত পণ্যে ট্যাগ লাগানো কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাই কয়েকদিনের মধ্যে সব দোকানে ট্যাগ লাগানো সম্পূর্ণ হবে।

আরও জানালেন, যারা এর অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মে জড়িত দোকানের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন অনিয়মের মাধ্যমে এই মার্কেটের সুনাম নষ্ট করতে না পারে তাই আমরা নিয়মিত মার্কেট মনিটরিংয়ে রয়েছি। মার্কেটে ‘কাঁকন’ নামে আমার নিজের দোকান রয়েছে। তবে নিজের দোকানেও আমি সময় দিই না, সবসময় ক্রেতাদের সুবিধার্থে সমস্ত মার্কেটে নজরদারিতে থাকি যেন একটা ক্রেতাও কেনাকাটা করতে এসে অসন্তোষ্ট প্রকাশ না করে। আমার ৫২ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এখন কেবল একটাই চাওয়া যেন মিমি সুপার মার্কেটের হারানো ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারি।