Home আগরতলা এবার মুম্বইয়ের পথে কৃষকের মিছিল

এবার মুম্বইয়ের পথে কৃষকের মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে মিছিল করে মুম্বইয়ের দিকে রওনা হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। মহারাষ্ট্রের ২১ টি জেলা থেকে আসছেন তাঁরা। শনিবার তাঁরা নাসিকে সমাবেশ করেন। সেখানে থেকে ১৮০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন মুম্বইতে। সোমবার শহরের আজাদ ময়দানে তাঁরা বিশাল সমাবেশ করবেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।

বিভিন্ন ছোট ছোট কৃষক ইউনিয়ন যৌথভাবে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা নামে একটি মঞ্চ তৈরি করেছে। সেই মঞ্চই মিছিলের ডাক দিয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে মিছিল মুম্বইতে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সপ্তাহ দু’য়েক আগে শরদ পাওয়ার দিল্লিতে অবস্থানরত কৃষকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের দাবি মেনে কৃষি আইনগুলি বাতিল না করলে কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ফল ভোগ করতে হবে। গত মাসেও তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন কৃষকদের ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়। ২৬ তারিখে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল করতে চলেছেন কৃষকরা। তার আগে দিল্লিতে অবস্থানরত কৃষকদের সমর্থনে সমাবেশ হবে মুম্বইতে।

রবিবার জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হিরাবেন মোদীকে চিঠি লিখেছেন এক কৃষক। প্রায় ১০০ বছর বয়সী হিরাবেনের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, মা হিসাবে যেন তিনি ছেলের ওপরে প্রভাব খাটান। তাহলে নরেন্দ্র মোদীর মন পরিবর্তিত হবে। তিনি কৃষকদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

চিঠিটি লিখেছেন পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার গোলু কা মধ গ্রামের বাসিন্দা হরপ্রীত সিং। হিন্দিতে চিঠি লেখা হয়েছে। হরপ্রীত লিখেছেন, অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন। বহু কৃষকই চান, বিতর্কিত আইনগুলি বাতিল করা হোক। কৃষকরা দেশের মানুষের ক্ষিধে মেটান। তাঁদের পরিবারের অনেক সন্তান সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন। এইসব কারণে কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত।

হরদীপ লিখেছেন, “খুবই দুঃখের সঙ্গে আমি এই চিঠি লিখছি। আপনি জানেন, যারা সারা দেশকে খাওয়ান, সেই অন্নদাতারা এখন দিল্লির রাস্তায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে তাঁরা তিনটি কালা কানুন রদ করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০-৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আছেন, শিশুরাও আছে। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকে মারাও গিয়েছেন।”

হরদীপের বক্তব্য, “আদানি, আম্বানি ও অন্যান্য কর্পোরেট হাউসের স্বার্থে কালা কানুন করা হয়েছে। সেজন্যই কৃষকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।”