বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, নাটোর: গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামের প্রাইভেট কারে পাওয়া গেলো ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা। পুলিশের তল্লাশিতে এই টাকা পাওয়া গেছে। এই টাকাসহ প্রাইভেট কারটি জব্ধ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার সময় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোষ্টে তল্লাশিকালে এই টাকা ও গাড়ি জব্দ করা হয়।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসমাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম চালায় পুলিশ। এ সময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। তল্লাশিকালে টাকার সন্ধ্যান পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. একরামুল হক, সিংড়ার ইউএনও মাজহারুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) সনজয় কুমার সরকার, নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমানসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযান পরিচালনা করেন। প্রাইভেটকার তল্লাশি করে একটি ব্যাগ থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী ছাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিল তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে। পরে গননা করে আরো ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি উদঘাটন করার জন্য দুদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকলে যেকোনো সময় হাজির হতে বাধ্য থাকবেন তিনি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী ছাবিউল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। জমি বিক্রির বৈধ টাকা গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।