বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে খোলাসা করেন যে বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের হজ্ব ও ওমরাহ এজেন্সি যোগাযোগ করলে ভিসা ইস্যু হবে।
এ প্রসঙ্গে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানালেন, ভিসা না দেয়ার বিষয়টি জানার পরপরই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র পাঠান। সেইসঙ্গে সচিব ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে টেলিফোনে ও মোবাইলে যোগাযোগ রেখেছেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বর্তমানে ছুটিতে দেশটিতে অবস্থান করছেন। ডিও পত্রের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তিনি সচিবকে একটি ফিরতি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ্ব ও ওমরাহ এজেন্সিকে হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। তাহলে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা নেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে এ সময় উপদেষ্টা বলেন, টিকিট সংগ্রহকারী কোনো যাত্রী ভ্রমণে অনিচ্ছুক হলে বিধি অনুযায়ী তার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সৌদি এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে ভিসা না পাওয়ার কারণে যারা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যেতে পারবেন না, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের পরে এবং আগামী জুলাই মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ রেখে টিকিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিসার ক্ষেত্রে সৌদি দূতাবাস কোনো অনিয়ম করছে না। এবার ওমরাহর জন্য যতো সংখ্যক ওমরা যাত্রী সৌদিতে গেছেন তা অনেক বেশি, এজন্য তারা ভিসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান তুলসী গাবার্ডের এই মন্তব্য ধর্ম উপদেষ্টার নজরে আনা হলে তিনি বলেন, তারা যেভাবে দাবি করছে, তা ঠিক নয়। তবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশে ইসলাম ফোবিয়া আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়।