Home চট্টগ্রাম ওয়ার্ড ৪: ভোটাররা জানে না কে কে প্রার্থী!

ওয়ার্ড ৪: ভোটাররা জানে না কে কে প্রার্থী!

এলাকার পথের দুর্দশার খণ্ডচিত্র এটা।

  • নির্বাচনের আমেজ নেই
  • প্রার্থীদের পোস্টার নেই

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম:এখনও জমে উঠেনি ৪নং চাদ্গাঁও ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা। অলিতে গলিতে নেই পোস্টার। নেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের আনাগোনা। স্থানীয় অনেক ভোটার জানেন না প্রার্থী কে কে এবং তাদের নির্বাচনী প্রতীক।

২৭ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরে নগর জুড়ে বইছে আমেজ উন্মাদনা। কিন্তু চাদগাঁওয়ে নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডে বলিরহাট, শংকরহাট, শমসের পাড়া, ডালিপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর প্রার্থী, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো পোস্টার নেই এখনও। ভোটারদের মধ্যেও নেই ভোট নিয়ে কোনো আগ্রহ।

ওয়ার্ডটি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই ভোটারদের। চান্দগাঁওবাসীর প্রধান সমস্যা আরাকান সড়ক। সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি আর সমন্বয়হীনতার কারণে বিগত ৫ বছর ধরে চলমান সংস্কার কাজ। এখনো শেষ হয়নি। মানসম্মতভাবে বর্জ্য নিস্কাশন, পানি নিষ্কাশন ও সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় শংকর হাট, বেপারীপাড়াসহ অনেক এলাকা। এছাড়াও রয়েছে কিশোর গ্যাং, মাদকের বিস্তার ও সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ।

টেকবাজার পুল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, এই এলাকায় কাউন্সিলরের পা পড়ে না সহজে। সামনে নির্বাচনে কে কে প্রার্থী বা তাদের মার্কা কি জানা নেই আমিসহ অনেকের। নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত আমাদের এলাকায়, আর্বজনা রাখার নিদিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় যেখানে-সেখানে ময়লা–আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। আর নিত্যদিন যানজট তো আছেই। বেশির ভাগ জায়গার ড্রেনেজ ব্যবস্থাই বিকল। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হয়। আছে মশার উপদ্রব আর সুপেয় পানির সংকট। কাউন্সিলর কে বারবার অভিযোগ করেও কোন সমাধান হয়নি। এবার প্রতিশ্রুতি নয়, যিনি আমাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে এবং আমাদের কাছে আসবে তাকে আমরা ভোট দিব।

কোথাও নেই ভোটের পোস্টার

বাহিরসিগন্যাল এলাকার বাসিন্দা অধ্যাপক সুভাষ বড়ুয়া বলেন, নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড ৪নং চাদ্গাঁও। নির্বাচনী প্রচারণা দেখে মনে হচ্ছে ফলাফল নির্ধারিত, তাই প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই৷

চাদগাঁও আবাসিকের ১৪ং রোডের বাসিন্দা মনির ইসলাম বলেন, আবাসিকে জলাবদ্ধতা কারণে ভোগান্তি নিরাসনের সময়োপযোগী কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি। তাছাড়া পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকার কারণে উপচে পড়ে আবর্জনা। দুর্গন্ধে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। প্রতিবার ভোট আসলে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এবার কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে এখনো কেউ আসেনি।

ওয়ার্ডের প্রতিটি জায়গায় পোস্টার ও প্রচারণা করতে পারেনি স্বীকার করে বিএনপি মনোনীত মাহাবুবুল আলম বলেন, আমার ওয়ার্ড চট্টগ্রামের অন্যতম বড় ওয়ার্ড। আমি ওয়ার্ডের একপ্রান্ত থেকে প্রচারণা শুরু করেছি ,আশাকরি ২/৩ দিনের মধ্যে আমরা ওয়ার্ডের সকল ভোটারদের কাছে নির্বাচনী বার্তা নিয়ে যাব।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসরারুল হক এসরাল বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু আমার ওয়ার্ড অন্যতম বড় ওয়ার্ড তাই সব ভোটারের কাছে পৌঁছাতে একটু সময় লাগছে । তিনি নির্বাচিত হলে চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করে যত্রতত্র রাস্তাঘাট খোড়াখুড়ি বন্ধ করা, মশক নিধনে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা ও এলাকাবাসীর নাগরিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এলাকার নানা সমস্যার ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।