কক্সবাজার: কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) বহুতল অফিস ভবন বুধবার (১৮ মে) শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বহুতল অফিস ভবনের উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণের জন্য এক একর ২১ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই বছরের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক এ ভবনটি।
ভবনটির বেইজমেন্ট গ্র্যাউন্ড ফ্লোর ২২ হাজার ২৫ স্কয়ার ফিট, গ্রাউন্ড ফ্লোর ১৬ হাজার স্কয়ার ফিট, প্রথম ফ্লোর ২০ হাজার ৮৮২ স্কয়ার ফিট, দ্বিতীয় ফ্লোর ১৬ হাজার ৭৭ স্কয়ার ফিট, তৃতীয় ফ্লোর ১৯ হাজার ৫৩১ স্কয়ার ফিটসহ সর্বমোট ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮১ স্কয়ার ফিট। এর মধ্যে রয়েছে মাল্টিপারপাস হল, ওয়াটার হারভেস্টিং, সোলার সিস্টেম, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, রেস্ট হাউজ, ওয়াইজোন, রেস্টুরেন্ট সিসি ক্যামেরাসহ সবধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা।
কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়নে নতুন করে আবারো ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরির কাজ শুরু করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়া ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা। যা চুড়ান্ত করতে সময় লাগবে ২ বছর পর্যন্ত। এর মধ্যে ৬ মাস রাখা হয়েছে অভিযোগ শোনার জন্য। পরের ৬ মাস এসব অভিযোগের পর্যালোচনা শেষ করে চুড়ান্ত কাজের পরিধি নির্ধারণ করা হবে। প্ল্যানটি সরকার থেকে অনুমোদন নিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ হতে ৩ বছরের মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০১৩ সালে কক্সবাজারের উন্নয়নে আরো একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ করা হয়েছিল। যা সরকার অনুমোদনও দিয়েছে। কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতের কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এলাকা ঘিরে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে ছিল নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর।
২০১৩ সালে অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফোরকান আহমদ। তিনি বলেন, যে বা যারা পরিকল্পনাটি তৈরি করেছেন তারা কেউ মাঠ পর্যায়ে কাজ করেননি। সম্ভবত ঢাকায় বসে প্ল্যান করা হয়েছে। ফলে প্ল্যানে একটি ১০ ফিটের রাস্তা ১০০ ফিট করার পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে। যা করা সম্ভব নয়। ফলে নতুন করে মাস্টার প্ল্যান করতে হচ্ছে।