৬৪ জেলার মধ্যে কক্সবাজার নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কমিটি
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার:কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে দলকে রক্ষার জন্য দলীয় হাইকমান্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন চকরিয়া ও পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িত। পুরো জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দল পরিচালনা ও পুনর্গঠনে পুরো জেলায় তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। দলের ভেতর তারা বিভাজনের রাজনীতি করছে। এ কারণে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে একটি নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কমিটি।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথার বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব বলেন এমপি জাফর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভায় তাকে উপজেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণ অগঠণতান্ত্রিক ও দলীয় গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।
এ সময় চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমপি জাফর আলম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতি ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
সেগুলো হলো (১) মেয়াদোত্তীর্ণ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে পুনর্গঠন (২) জনপ্রিয় নেতাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে অব্যাহতি সম্বলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাইতে হবে। (৩) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভাসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটে জেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেট রাজনীতির অবসানকল্পে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। (৪) জনপ্রিয় নেতাদের অগঠনতান্ত্রিকভাবে হটিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রবণতা বন্ধ করতে হবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ ও মনোনয়ন দেওয়ার নামে অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। (৫) কক্সবাজার পৌরসভার পানি শোধানাগার প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে দুদকের চলমান তদন্তে মেয়র মুজিবসহ যাদের এসেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিতকল্পে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। (৬) দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে মেয়র মুজিবুর রহমানের দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।