বরগুনা থেকে জাহিদুল ইসলাম মেহেদী: চলমান লকডাউনের মধ্যে বরগুনায় মানুষের অকারণে ঘরের বাইরে বের হওয়ার নানান অজুহাত। তাতে বেড়ে গেছে মানুষের চলাচল।
মূল সড়কে কড়াকড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর নেই অলিগলিতে। ফলে পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে, কাঁচাবাজারে, ফলের দোকানে চলছে আড্ডা। সোমবার বরগুনা সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
শুধু যে পাড়া মহল্লায় অলিগলিতে এমন দৃশ্য তা নয়। প্রধান সড়কেও দেখা গেছে ভিন্ন অজুহাতে চলাচলের দৃশ্য।
টাউনহলে নাজমা বেগম বের হয়েছিলেন রিকশায় চড়ে। চেকপোস্টে আটকালে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার অজুহাত তার। এভাবে কেউ ডাক্তারের কাছে কেউ আবার ব্যাংকে, কেউ বা বাজারের লম্বা ফর্দ নিয়ে, কেউ আবার ঘরে থাকার বিরক্তিতে বের হয়েছেন বাইরে। কোনভাবে পুলিশকে বোঝানো গেলেও বেশি কড়াকড়ি ছিলো নৌবাহিনীর টহলগুলোতে।
এদিকে সকালের শুরুতে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও মধ্যবেলায় বরগুনার রাস্তায় বাড়ে যান চলাচল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে সত্যি। তবে, প্রজ্ঞাপনের অনুমোদনের বাইরে কোনো যান কিংবা ব্যক্তিকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
তাছাড়া মানুষ যাতে বাসা থেকে বের হয়ে অযথা অলিগলিতে ভিড় না করে সেজন্য মোবাইল টিমসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে টহল দেয়া হচ্ছে। হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রচারণা চলছে যাতে মানুষ অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের না হন। সচেতন করার পাশাপাশি যারা একদম বিনা প্রয়োজনে বের হচ্ছে তাদেরকে থানায় ধরে নিয়ে আসছি। সব মিলিয়ে সবাই সচেতন করার চেষ্টা করছি, যাতে তারা এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পান।
পঞ্চম দিনের লকডাউন বাস্তবায়নের বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রাশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সচেতন করার চেষ্টা এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অর্থদণ্ড করা হচ্ছে।