Home First Lead কন্টেইনার হ্যান্ডলিং: এবার সমঝোতার অপচেষ্টা

কন্টেইনার হ্যান্ডলিং: এবার সমঝোতার অপচেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

‘বাড়া ভাতে ছাই’ পড়ার সম্ভাবনায় নতুন উদ্যোগ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: এবার চলছে বন্দরের জিসিবি এলাকায় ৬ কন্টেইনার বার্থে অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা। আর সেটা হলে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং খরচ বেড়ে যাবে এবং তাতে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হবে।এই আশংকা শিপিং সংশ্লিষ্টদের।  

আগামী ৫ বছরের জন্য অপারেটর নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৬ বার্থে কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর কাজের জন্য এতে অংশ নিয়েছে ৭ কোম্পানি। ‘সিঙ্গেল স্টেজ টু এনভেলপ’ পদ্ধতিতে আহূত দরপত্র জমা করার শেষদিন ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। বিদ্যমান  ৬ অপারেটর এবং একমাত্র টার্মিনাল অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড দরপত্র দিয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দরপত্র বিক্রি শুরুর প্রথম পর্যায়ে টেন্ডার ডকুমেন্টস কিনে টার্মিনাল অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড। তখন থেকে শুরু হয় অন্যদের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা। সাইফপাওয়ারটেক যদি দরপত্র জমা দেয় তাতে অন্যদের ‘বাড়া ভাতে ছাই’ পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে এই চেষ্টা। তা ব্যর্থ হয়।

 এক দশক ধরে নিয়োজিত ৬ টির বাইরের যে একটি কোম্পানি এবারে দরপত্রে অংশ নিয়েছে সেটি হলো সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড। ৬ এবং ১২ নম্বর বার্থে কোম্পানিটি দরপত্র দিয়েছে। ৬ নম্বর বার্থে অপর যে দু’টি কোম্পানি দরপত্র দিয়েছে সেগুলি হলো এফকিউ খান এন্ড ব্রাদার্স এবং  ফজলীসন্স লিমিটেড। আর ১২ নম্বরে দরপত্র জমা দেয়া অপর দু’টি কোম্পানি হলো এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস, এবং এমএইচ চৌধুরী লিমিটেড।

দরপত্রের ফিনান্সিয়াল অফার খোলা না হলেও অনুমান করা হচ্ছে যে সাইফপাওয়ারটেকের উদ্বৃত দর হবে সবচেয়ে কম। আর সেটা হলে কেবল ৬ এবং ১২ নম্বর বার্থ-এর ব্যবসা হাতছাড়া হবে তা নয়, সেই দরে অন্য ৪ বার্থেও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার বিষয়টি আসবে। সেই আশঙ্কা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা অর্থাৎ সাইফপাওয়ারটেক যাতে শেষ পর্যন্ত সরে যায় সেই উদ্যোগ।

অধিক সংখ্যকের অংশ গ্রহণের সুযোগ না থাকায় দরপত্র এমনিতে বলা যায় প্রতিযোগিতাবিহীন। এ অবস্থায় ৬ বার্থে বিদ্যমান অপারেটরদের বাইরে আর একটি কোম্পানির অংশগ্রহণে কনে্‌টইনার হ্যান্ডলিং রেট হ্রাসের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সমঝোতা হলে সেটা ভেস্তে যাবে। তাতে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হবে এবং আমদানি-রপ্তানি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এই অভিমত শিপিং এবং আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের।

সাইফপাওয়ারটেক কেন দরপত্রে?

কোম্পানিটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর থেকে বারে বারে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কখনও মামলার ফাঁদে পড়েছে, আবার কখনও বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগের কারণে বিব্রত হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ‘বাড়া ভাতে ছাই’ দিতে নেমেছে বলে ধারণা তথ্যাভিজ্ঞমহলের।

 উল্লেখ্য, কোম্পানির কর্ণধার তরফদার মো. রুহুল আমিন চিটগাং চেম্বারের সহ-সভাপতি। চট্টগ্রামে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরাও তাঁর ঘনিষ্ঠ।