Home অন্যান্য করোনা আতঙ্কেও ক্ষেত পরিচর্যায় কমতি নেই

করোনা আতঙ্কেও ক্ষেত পরিচর্যায় কমতি নেই

উলিপুরে দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহ

বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা

কুড়িগ্রাম: করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও ক্ষেতের পরিচর্যায়  কোনো কমতি নেই। উলিপুরে দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহ। এরই মধ্যে আগাম রোপনকৃত বেশিরভাগ ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে।

আর মাত্র কয়েকটা দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফোটাচ্ছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবারে তেমন কোনো রোগ-বালাই না হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম হবে। কৃষি বিভাগের দাবি, চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সারাদেশে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কৃষকরা জমির ক্ষেতের পরিচর্যার কোনো কমতি করছেন না। অনেক কৃষক মোবাইল ফোনে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে রোগ-বালাই দমনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২৮ হজার ১২৯ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৫শ ৭৫ হেক্টর জমিতে উফসি, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে উফসি, ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৭৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ৫১০ হেক্টর জমিতে গম, ৪৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা, ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৮০৫ হেক্টর জমিতে আলু,২৮৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ ও শাক-সবজি সহ মৌসুমী ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের বর্গা চাষী বাদশা মিয়া বলেন, ২ বিঘা জমিতে স্থানীয় ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষাবাদ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে লাভের আশা করছেন তিনি। দলদলিয়া ইউনিয়নের কৃষক ফয়জার আলী বলেন, তার জমিতে পোকার আক্রমণ হলে তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে পরামর্শ নিয়ে ধান ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করেছেন। লোডশেডিং না থাকায় সেচ দিতে পারছেন নিয়মিত। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। এ সময় তারা বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও ক্ষেতের পরিচর্যায় তারা কোনো কমতি করছেন না। এসব কৃষকের আশা পরিবেশ অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সুফল পেতে শুরু করেছে। আশা করছি চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানসহ সব ফসলের বাম্পার ফলন পাবেন।