বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত ৪,৬০৪ বার রূপ বদলেছে। একইসাথে সম্পূর্ণ নতুন ধারার জিনগত মিউটেশন মিলেছে ৩৪টি, যা আর কোনো দেশে পাওয়া যায়নি।
করোনার সবচেয়ে বেশি রূপ বদলিয়েছে যেসব স্থানে তা হল- ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫ প্রতিষ্ঠানের ১০ গবেষক এসব তথ্য দিয়েছেন।
অপরদিকে গেল ২০ দিনের ব্যবধানে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৮ ভাগ। প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে চাপ। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকায় শনাক্ত নতুন ধরনের করোনার মতো ভাইরাসের সন্ধানও মিলেছে বাংলাদেশে।
গবেষকেরা এব্যাপারে জানান, ২০২০ সালে দেশে সাড়ে চার হাজারের বেশিবার রূপ বদল করেছে করোনা। ৩৭১ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স থেকে ৩৪টি একেবারে নতুন মিউটেশন পাওয়া গেছে। গবেষকেরা এর নাম দিয়েছেন বাংলা মিউটেশন।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক আদনান মান্নান বলছেন, আমরা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে একেবারে ইউনিক ৩৪টি নতুন মিউটেশন পেয়েছি। যা পৃথিবীর আর কোথাও এখনো পাওয়া যায়নি। এর নাম আমরা দিয়েছি বাংলা মিউটেশন। জেনেটিক মিউটেশন সম্পন্ন ভাইরাসের নমুনাগুলো এখনি ল্যাবে নিয়ে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
দেশের ইউনিক মিউটেশনগুলো অঞ্চলভিত্তিক। কিছু জিনগত পরিবর্তন শুধু নির্দিষ্ট জেলা বা অঞ্চলেই পাওয়া গেছে। ঢাকায় দেখা গেছে তিনটি সুনির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন। একইভাবে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল, যশোর, মৌলভীবাজার এবং ময়মনসিংহেও আলাদা মিউটেশন পাওয়া গেছে।
ইউনিক মিউটেশন বেশি থাকায় নতুন যেকোনো ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। ফলে এলাকাভিত্তিক জিনোম সিকোয়েন্স করা জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, শক্তিশালী জি-৬১৪-ডি মিউটেশন ৯৮ ভাগ।
দেশে করোনার বারবার রূপ বদল ৩৪টি একেবারে নতুন মিউটেশনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।