Home First Lead দূষণ ও অপদখল থেকে কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে হবে: নৌ সচিব

দূষণ ও অপদখল থেকে কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে হবে: নৌ সচিব

  • নাব্যতা বাড়িয়ে বড় জাহাজ যাতায়াতের সুবিধা তৈরি করতে হবে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম:দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের লাইফ লাইন খ্যাত কর্ণফুলী নদীকে দূষণ ও অপদখলের হাত থেকে রক্ষা করে তার নান্দনিক রূপ ফিরিয়ে আনতে হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রবিবার এক মত বিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান।

কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধ কল্পে নদী সংশ্লিষ্ট স্ট্যেকহোল্ডারদের সাথে এই মত বিনিময় সভা  রবিবার ( ৪ অক্টোবর)বন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস.এম আবুল কালাম আজাদ ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চবক অধিশাখার কর্মকর্তাবৃন্দচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

সভায়  বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন তাদের স্ব স্ব সংস্থার কর্ণফুলী নদী সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি এবং বাস্তবায়নে সুফল সম্পর্কে সভায় অবহিত করেন।

কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা মূল চ্যানেলে বৃদ্ধি পেলেও খাল সমূহ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং দূষণ ও অবৈধ দখল বৃদ্ধি পাওয়ায় মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি প্রতিটি সংস্থাকে তাদের প্রকল্প গ্রহন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নদীর দূষণ রোধ এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধকল্পে প্রণীত মাষ্টারপ্ল্যান যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা সমূহকে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।

সভায় বলা হয়, কর্ণফুলী নদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে এ ব্যাপারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের ওপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

সচিব বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কর্ণফুলী নদীর ভূমিকা অতুলনীয়। তাই ভবিষ্যতে এ নদীকে একদিকে দূষণ ও অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, অপরদিকে নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো বৃহৎ সাইজের জাহাজ গমনাগমনের সুবিধা তৈরি করতে হবে। শহরের নাগরিক বর্জ্য এবং সুয়ারেজের মাধ্যমে যাতে নদী দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় এ জন্য নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি সহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সভায় মত প্রকাশ করা হয়। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের লাইফ লাইন খ্যাত কর্ণফুলী নদীকে দূষণ ও অপদখলের হাত থেকে রক্ষা করে তার নান্দনিক রূপ ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে আরো অধিক অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান  জানান সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।