ঢাকা: শেয়ারবাজারে ব্যাংকসমূহের বিনিয়োগসীমা গণনায় বিবেচনা করা হবে কস্ট প্রাইসকে। বর্তমানে এটা বিবেচনা করা হয় মার্কেট প্রাইস অনুসারে। ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অনুমোদন বা স্পষ্টীকরনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার কারণে এই বিষয়টি এতদিন ধরে ঝুলে ছিল। যার কারণে বাজার বার বার এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
নতুন গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার নিয়োগ পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই বাধা কাটিয়ে শেয়ারবাজারের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে গণনার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। যা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই বড় খুশীর খবর বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসি ও বাং লাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছেন। তাঁরা বলছেন, আগামী সপ্তাহের যেকোন দিন বিষয়টি নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা হবে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ও ব্যাংকিং শাখার একটি সূত্র জানায়, বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে গণনার বিষয়ে আর্থিক ও ব্যাংকিং বিভাগ আগে থেকেই পজিটিভ ছিল। সুতরাং এখন কোন পক্ষ থেকেই কোন সমস্যা নেই।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে গণনা করা হবে। যার ফলে বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ অনেক সৃষ্টি হবে। ফলে বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাবে। বাজার দীর্ঘ দিনের খরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
কস্ট প্রাইসে গণনায় ব্যাংগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে গণনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফাইল মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি বিষয়টি খুব দ্রত সমাধান হবে। আর এর সুফল আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে বিনিয়োগকারীরা দেখতে পাবেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, এতদিন ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা মার্কেট প্রাইসে গণনা করা হতো। এতে ব্যাংকগুলো সক্ষমতার ২৫ শতাংশও বিনিয়োগ করতে পারতো না। এর পরও যা বিনিয়োগ করতো, সেই বিনিয়োগ নিয়েও ভয়ে থাকতো। কারণ বাজার বেড়ে গেলে তাদের বিনিয়োগ সীমা অতিক্রম করে যেতো। ব্যাংকগুলো জরিমানার সম্মুখিন হতো। বিষয়টি ব্যাংকগুলোর জন্য আতঙ্কের কারণ হিসেবেও কাজ করতো।
এখন থেকে কস্ট প্রাইসে গণনা করা হলে ব্যাংকগুলো নিশ্চিন্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ভয় কাজ করবে না। শেয়ারদর বাড়লেও ব্যাংকগুলোকে শেয়ার বিক্রির জন্য তাড়াহুড়া করতে হবে না। যা বাজারকে এগিয়ে নিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করবে।