বিজনেসটুডে
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১১০ জন। এই বিস্ফোরণ থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান ১৪ বাংলাদেশি।
শুক্রবার একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এ ১৪ বাংলাদেশির আটজন টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী ও তিনজন ব্র্যাকের কর্মকর্তা।
তারা জানান, তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রায় ১৬০ আফগান শিক্ষার্থীরও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। তারা এ উদ্দেশে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যান। তবে ফ্লাইট রেডি না হওয়ায় ফিরে যেতে হয়। তারা ফিরে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে শতাধিকন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
টেলিকম প্রকৌশলী রাজিব বিন ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা রওনক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আফগানিস্তান থেকে তারা ফিরছেন জেনে, গত মঙ্গল ও বুধবার তিনিসহ ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ফ্লাইট রেডি না হওয়ায় কাবুলে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিমানবন্দর থেকে চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।
আফগানিস্তানে মোট ২৬ জন বাংলাদেশি বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পূর্ণ সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার আগেই গত ১৫ আগস্ট দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
২৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তাকে গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় কাজাখাস্তানে সরিয়ে নেয়া হয়। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় আরো দুজন বাংলাদেশিকে কাতারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের ভয়ে হাজারও আফগান ও বিদেশি নাগরিক দেশ ছেড়ে থেকে পালাতে শুরু করে। এরপর থেকে প্রচুর ভিড় সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরে। অন্যদিকে, বোমা বিস্ফোরণের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।