বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলির মধ্যে কোনও একটিতে সমস্যা দেখা দিলে আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় ও বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হয়ে থাকি আমরা। ফলে, আমাদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কিডনি হল সেই অঙ্গগুলির মধ্যে এমনাই একটি অঙ্গ, যা আমাদের শরীরে রেচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে। কিডনি আমাদের শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে গেলে এই পাঁচিটি জিনিস আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন।
শরীরে লবণের মাত্রা: লবন আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও অত্যধিক পরিমাণে লবণ আমাদের শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই লবণের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে ক্ষতি হতে পারে কিডনির। তাই প্রতিদিনই লবন গ্রহণ করুন, কিন্তু পরিমান মেনেই। অতিরিক্ত লবন শরীরে প্রবেশ না করানোই ভালো।
অতিরিক্ত রেড মিট: রেড মিট যেমন মাঝেমধ্যে শরীরের জন্য উপকারী, ঠিক তেমনই পরিমিত ভাবে খাওয়া উচিত রেড মিট, এবং সেটাও আমার ছয় মাসে-ন’মাসে একবার-দুবার। আসলে, অতিরিক্ত রেড মিট খেলে শরীরে বিপাকক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত রেড মিট খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মিষ্টি জাতীয় খাবার: খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য মিষ্টি, কেক, কুকিজ এই ধরনের খাবারে আলাদা করে চিনি যোগ করা হয়। এই ধরনের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খেলে তা কিডনির ওপর প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারের ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যালকোহল সেবন: অ্যালকোহল কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। অ্যালকোহল শুধু যে কিডনির ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, তা নয়, লিভারকেও দ্রুত নষ্ট করে দিতে পারে অ্যালকোহল। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়, যার ফলে দ্রুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই পানীয়টিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কফি: কফির একাধিক উপকারিতা রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যাঁদের দিনের শুরুতে এককাপ কফি না হলে চলেই না। তবে পরিমিত কফি পান করা ভালো হলেও বেশিমাত্রায় কফি খেলে তা যেমন বিপাক ক্রিয়ার ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে তেমনই ক্ষতি হয় কিডনির। এতে ক্যাফেইন রয়েছে, যা কিডনির জন্য বিষাক্ত বলে পরিচিত। তাই কিডনিতে সুস্থ রাখতে এগুলো এড়িয়ে চলুন।