ধারণক্ষমতা ১৬৩। এর বিপরীতে রয়েছে ৫৬২। ধারণক্ষমতার ৩ গুণের বেশি বন্দী নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে, বন্দীদেরও কালাতিপাত করতে হচ্ছে সীমাহীন দুঃসহ পরিস্থিতিতে।
নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের বন্দী ধারণক্ষমতা ১৬৩। এর বিপরীতে রয়েছেন ৫৬২ জন ( রবিবার সন্ধ্যার হিসাব)। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৪২ এবং নারী ২০জন। এ অবস্থায় সেখানে বিরাজ করছে এক নারকীয় পরিবেশ। ধারণক্ষমতার ৩ গুণের বেশি বন্দী নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে, বন্দীদেরও সীমাহীন দুঃসহ পরিস্থিতিতে কালাতিপাত করতে হচ্ছে।
প্রায় ৩ যুগ আগে জেলা কারাগার হিসেবে এর যাত্রা শুরু। তখন থেকে ধারণক্ষমতার কয়েকগুন বন্দীকে এখানে রাখতে হয় সব সময়। জেলা কারাগার হিসেবে বন্দীর সংখ্যা বাড়লেও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়নি। এ অবস্থায় কি অবস্থা হয় তা সহজে অনুমেয়। বিশেষতঃ শৌচাগার ব্যবহারে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বন্দীদের।
অবস্থাটা কেমন ভিতরে? রবিবার জামিনে মুক্তি পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আসামি বলেন, ‘ভেতরে থাকার খুব কষ্ট। এক রুমে অনেকজনকে থাকতে হয়। শুয়ে কাত হওয়ার মতো অবস্থা নেই। সব আসামিকে কারাগারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
জামিনে মুক্তি পাওয়া আরেকজন জানালেন, ‘জেলের ভেতরে থাকার কোনও পরিবেশ নাই। ওয়ার্ডগুলোতে শুইয়া কেউ পাশ ফিরবে এমন অবস্থাও নাই। গাদাগাদি কইরা থাকতে হয়। টয়লেটে যাইতে হইলেও লম্বা সিরিয়াল লাগে।’
কারা সদস্য ও জামিন পাওয়া একাধিক আসামির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বন্দি থাকায় ওয়ার্ডগুলোতে বিরাজ করছে চরম নারকীয় পরিবেশ। বন্দিদের গাদাগাদি করে সময় কাটাতে হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্গতি শৌচাগার নিয়ে। প্রতি ওয়ার্ডে এক থেকে দেড়শ বন্দির বিপরীতে শৌচাগার রয়েছে একটি। আর চার ওয়ার্ডের বন্দিদের জন্য দিবা শৌচাগার রয়েছে মাত্র ২০টি।
কারাগার সূত্র জানায়, জেলা কারাগারে চারটি পুরুষ ও দুটি নারী ওয়ার্ড মিলে বন্দি ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডগুলোতে বন্দি ধারণক্ষমতা ১৪৫। দুটি নারী ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতা ১৮।