Home সারাদেশ দুটি কৃত্রিম হাত চায় রেজাউল

দুটি কৃত্রিম হাত চায় রেজাউল

রেজাউল । ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ): শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় দমে যায়নি রেজাউল করিম (৮)।  লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর মনের জোর থাকায় অভাবের সংসারে দু’হাতের আঙুল বিহীন ছেলেকে পড়ালেখা করাতে হাল ছাড়েনি আবুলের পরিবার। প্রথম শ্রেণি থেকে আঙুল ছাড়া হাত দিয়ে লিখে চলছে তার পড়াশোনা।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের বসবাসরত দরিদ্র কৃষক আবুল হোসেন এর ছেলে রেজাউল করিম। সুবিদপুর- ব্রাক্ষমগ্রাও তালীমুল কুরআন নুরানী মাদ্রাসা ২য় শ্রেণী ছাত্র।

রেজাউল করিমের হাত ও পা অসম্পূর্ণ। তবে, কারও সহযোগিতা ছাড়া একা একা চলাফেরা করতে পারে। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছা ও আগ্রহ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে তাকে ভর্তি করতে চাননি শিক্ষকগণ।

এমনটাও বলছেন যার হাতের আঙুল নেই সে লিখবে কিভাবে? মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে রেজাউল করিম প্রথম শ্রেণি থেকে হাতের আঙুল ছাড়া লিখে প্রথম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করেছেন।

রেজাউল করিম জানায়, বাবা-মা ও হুজুরদের অনুপ্রেরণায় আমি পড়াশোনা করতে পারছি। হাতের ও পায়ের আঙুল ছাড়া আমার চলাফেরায় অনেক কষ্ট হয়। কৃত্রিম হাতের আঙুল হলে আমি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করতে পারতাম। আমি বড় আলেম হতে চাই।

রেজাউল করিমের বাবা আবুল মিয়া বলেন, আমার এক ছেলে ও দুই মেয়ের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট করতে হয়। তাদের পড়াশোনা করানোর খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। টিভি চ্যানেলে দেখি কত মানুষের আলগা (কৃত্রিম) হাত-পায়ের সাথে আঙুল লাগিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করে। আমার ছেলেকে যদি এমন দুটো হাতের আঙুল লাগানো গেলে চলাফেরা ও পড়াশোনা করতে পারতো।

সুবিদপুর- ব্রাক্ষমগ্রাও তালীমুল কুরআন নুরানী মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদিকুর রহমান জানান, রেজাউল  মেধাবী ও প্রতিভাবান ছাত্র। দুই হাত পায়ের আঙুল না থাকলেও হাতের শক্ত অংশ দিয়ে লিখলেও অনেকের চেয়ে হস্তাক্ষর সুন্দর। আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার প্রতি আন্তরিক।  পারিবারিক ও মানসিক ভাবে সাহস পেলে ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে বলে আশাবাদী।