কেন বিচ্ছেদ হয় আমির কিরণের?

 আমির ও কিরণ যুগ্মভাবে গত বছরের জুলাইতে ঘোষণা করেছিলেন তাঁদের বিচ্ছেদের খবর)। তোলপাড় পড়ে গেছিল বি টাউনে তথা গোটা দেশে। তবে সন্তানের যে কোনও প্রয়োজনে যে তাঁরাই বাবা এবং মা হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন, সে কথাও জানিয়েছিলেন তখনই। তার পরে তাঁদের একসঙ্গে দেখাও গেছে বেশ কয়েক বার। এমনকি ছেলের জন্মদিনের পার্টিতেও একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা।

একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির খান জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগেই নাকি স্ত্রী কিরণ রাও তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমির খানের পরিবারের ব্যাপারে তিনি খুব একটা উৎসাহী নন। আমির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, “আমরা যখনই আমাদের পরিবার নিয়ে কিছু আলোচনা করতাম, তখনই সমস্যা হতো। কিরণ আমায় বলেছিল, আমি নাকি অন্যরকম একটি মানুষ। ও খুব মিষ্টি করে বলতো, ও আমায় কোনওভাবে বদলাতে চায় না। কারণ বদলে গেলে আমি আর সেই লোকটা থাকব না, যার প্রেমে ও পড়েছিল। ও আমার মস্তিষ্ক ও ব্যক্তিত্বকে ভালবেসেছিল। সাত বছর আগে ওর বলা এই কথাগুলো যখন আমি ভাবি, তখন বুঝতে পারি, গত ৬-৭ মাসে আমি কতটা বদলে গেছি।”

আমির খান আরও জানান, ভালবাসা বা সম্মান কখনও কম পড়েনি তাঁদের সম্পর্কে। এখনও নয়। তিনি বলেন, “আমি আর কিরণ পরস্পরকে খুব ভালবাসি। আমাদের পরস্পরের জন্য যথেষ্ট সম্মানও রয়েছে। কিন্তু মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। আমি সেটা বুঝি, কারণ তারা সাধারণত এমনটা দেখে না। আসলে, আমি আর কিরণ উপলব্ধি করেছি, যে আমরা পরস্পরকে এতটাই পছন্দ করি, পরস্পরকে এতটাই আপন মনে করি, যে আমরা চাইলেও ভালবাসা বা সম্মান কম করতে পারব না। আমরা সত্যিই এখনও একটাই পরিবার। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের যে সম্পর্ক, তাতে কিছু সমস্যা হয়েছিল। অথচ আমরা বিয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট মান্যতাও দিই। সে যাই হোক না কেন, আমরা সবসময়ই পরস্পরের পাশে আছি। আমরা একসঙ্গে কাজও করছি। কিন্তু আমরা আর ‘স্বামী-স্ত্রী’ নই, তাই আমরা এটাকে বিচ্ছেদই বলেছি।”