Home চট্টগ্রাম ক্রোকারিজের অঢেল সম্ভার গোলাম রসুল মার্কেটে

ক্রোকারিজের অঢেল সম্ভার গোলাম রসুল মার্কেটে

নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম: হাজী গোলাম রসুল মার্কেট। ক্রোকারিজের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। ক্রোকারিজের অঢেল সম্ভার এখানেই। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে নতুন রূপে ফিরছে এই মার্কেটের ৪শরও অধিক পাইকারি ও খুচরা দোকান। বিদেশি সিরামিকের চাহিদা বেশি থাকলেও দাম বাড়তি। তাই আমদানি হচ্ছে কম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার সিরামিক পণ্যের দাম বেড়েছে। আমদানিকারকরাই বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে।

আমদানিকারকরা জানান, সিরামিকের উপর সরকার ট্যাক্স বাড়ানোর কারণে দাম বাড়ছে। তাছাড়া দেশীয় সিরামিকের দামও বেড়েছে। বিদেশ থেকে তেমন নতুন পণ্য আসছে না।

আগের বছরের পণ্য এখনও বিক্রি হচ্ছে, তাও দাম বাড়তি। দেশীয় সিরামিক প্রস্তুতকারকরা জানান, গ্যাসের দাম বাড়তি, ট্যাক্স বেড়েছে, তাই পণ্যের দামও বেড়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রোকারিজ পণ্য এই মার্কেট থেকেই সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া
দেশীয় ক্রোকারিজ কোম্পানির ডিলাররাও এই মার্কেট থেকেই নিয়ে যান। এই মার্কেটে ইন্ডিয়া ও চায়না থেকে পণ্য আসে। বেশি আসে চিন থেকে।

মার্কেটে রয়েছে নিত্য ব্যবহার্য বা উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের ডিনার সেট, বাটির সেট, গ্লাস সেট। চিনামাটির পাশাপাশি আছে কাচ, ফাইবার, মেলামাইন, মাইক্রো-ওভেন প্রুফ কাচের বাটি, কাচের গ্লাস সেট পাওয়া যায় বিভিন্ন ডিজাইনে, বিভিন্ন আকারে। দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে।

গোলাম রসুল মার্কেট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, করোনায় গেল রমজানে বিক্রি না থাকায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানে বেচা বিক্রি ভালো। রমজান শুরুর আগের দশ দিন ও শেষের দশ দিন প্রচুর ব্যবসা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে পণ্য আনতে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ পায় নি। ব্যাংক ঋণের বিপরীতে ৯ শতাংশ সুদ হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারাও তেমন আগ্রহ দেখান না। করোনাকালে প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়েছে। এখনও পুঁজি সংকটে মার্কেটের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যবসায়ী পণ্য আনতে পারছেন না। তাই সরকারের এদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

করোনার প্রকোপ মোকাবেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার জন্য সবাইকে সচেতন করছি। মাইকে পাবলিসিটি করছি যেনো সবাই মাস্ক পরিধান করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে।

ট্যাক্স ও ভ্যাট নিয়ে তিনি বলেন, ট্যাক্স ও ভ্যাটের দিক দিয়ে আমাদের মার্কেট সবার প্রথমে। বণিক সমিতি থেকে আমরা কোন অনৈতিক কাজকে সমর্থন দেই না। মার্কেটের সব দোকান মালিকদের বলা আছে কেউ যেনো অবৈধ পণ্য বিক্রি না করেন।

রমজান উপলক্ষে ক্রেতাদের নিরাপত্তা সর্ম্পকে তিনি বলেন, পুরাে মার্কেটটি সিসি টিভি ক্যামরার আওতাভুক্ত। এখানে ২০টি সিসি টিভি ক্যামেরা আসে। ১০ জন সিকিউরিটি গার্ডও আছে। রমজানে আরোও ২ জন বাড়ানো হবে।

৪ তলা বিশিষ্ট এই মার্কেটে একেক তলা একেক পণ্যের জন্য পরিচিতি পায়। প্রথম তলায় তেরপাল, রেকসিন, স্টেশনারি। ২য়, ৩য় ও চতুর্থ তলা ক্রোকারিজ পণ্যের জন্য বিখ্যাত। এই মার্কেটের ১ম তলায় দোকান ১৫৩ টি, ২য় তলায় ১১২ টি, ৩য় তলায় ১১৬ টি এবং ৪ তলায় ১১৬ টি দোকান আছে। তবে ৪ তলায় বর্তমানে ২০ টি দোকান চালু আসে। সামনে আরও চালু হবে বলে জানান তিনি।