বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সময়মতো উৎপাদনে আসতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রবিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
২০০৮ সালের পর যে ১৮টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন পায়, বাতিল হওয়া ১০টি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে। বাতিল ১০টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে— মুন্সীগঞ্জের ৫২২ মেগাওয়াটের প্রকল্প, ঢাকার ২৮২ মেগাওয়াটের প্রকল্প, চট্টগ্রামের ২৮২ মেগাওয়াটের প্রকল্প, মহেশখালির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রকল্প, আশুগঞ্জের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রকল্প, গাইবান্ধার এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের প্রকল্প, সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশের ৭০০ মেগাওয়াটের যৌথ প্রকল্প, সিপিজিসিএল-সুমিতমো করপোরেশনের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের যৌথ প্রকল্প ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের যৌথ প্রকল্প।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে এরআগে জানিয়েছিলেন, কয়েক বছর ধরে এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এগুলো বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছিল।
পায়রার ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বর্তমানে বিদুৎ উৎপাদন করছে। গত কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে ৬০০ মেগাওয়াট যোগ করে আসছে। বাংলাদেশ-চীনের যৌথ প্রকল্প এটি। এ ছাড়া, রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের ১ ২২৪ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, বরগুনার ৩০৭ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ীর ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কক্সবাজারের ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাঠ পর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে।
পায়রার আগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদুৎকেন্দ্রটি দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৩ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ‘প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষর করায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)’ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিতে নেপালের সঙ্গে আগামী মাসে চুক্তি সই হচ্ছে বলেও জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।