রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী থেকে: মানসুরা আক্তার নামে কে গৃহবধুকে ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকার শত শত নারী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন ঝর্না বেগম,পরভীন বেগম,রাহিমা বেগম ও নিহতের ভাই বেলাল হোসেন। মানববন্ধনে অভিযোগ করে তারা বলেন সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মেয়ে মানসুরার বিয়ে হয়েছিলো আমখোলা ইউনিয়নে। ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তার ননদের জামাই এমাদুল ইসলাম তাঁকে ধর্ষনের পর হত্যা করে। পরে স্থানীয় চৌকিদারের সহয়তায় তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষনা করে। তবে নিহতের ভাই গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। মানসুরা হত্যার বিচারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে নারীরা।
নিহতের ভাই বেলাল জানান, মানসুরার ননদের জামাই এমাদুল দীর্ঘ দিন ধরে তার বোনের ইজ্জত লুটের পরিকল্পনা করে আসছিলো। এর আগেও একবার সে তার বোনকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে শালিস বৈঠকও হয়। তখন এমাদুল তার বৌকে তালাক দেয়ার হুমকী দিলে শাস্তি দিতে পারেনি তারা।
ঘটনার দিন এমাদুল বাড়িতে তার বোনকে একা পেয়ে ধর্ষন করে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায়। অবশ্য অভিযুক্ত এমাদ দাবি করেন যে তিনি নির্দোষ। শাশুড়ির সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে মানসুরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, গলাচিপা থানায় এ বিষয় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।