সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংক ও খুলনা অক্সিজেন ব্যাংক দিন রাত খুলনা বাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে
খুলনা থেকে চন্দন ভট্টাচার্য্য: করোনার হটস্পটে পরিনত হয়েছে খুলনা। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে ।
গত কয়েক দিনে সংক্রমণের হার কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ।
করোনার দ্বিতীয় টেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে খুলনা। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিধিনিষেধ ও লকডাউন আরোপের পরেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সংকট আরো বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত সর্বমহল। কেউ বলছেন একবারে শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি , পাকস্থলির কার্যকারিতা ক্ষীণ নিয়ে ভর্তি, অক্সিজেন সংকট, সতকর্তার ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
শহরের সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের বেড সংকট দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট ও। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাক্তার, নার্স হিমশিম খাচ্ছে। রোগীর আত্মীয় স্বজনরা নিরুপায় অবস্থায় ও উৎকন্ঠায় দিন পার করেছে। তবে আশার কথা সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংক ও খুলনা অক্সিজেন ব্যাংক দিন রাত খুলনা বাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। খুলনার রাস্তায় শুধু অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। আর হাসপাতাল গুলোতে প্রিয়জন হারানোর কষ্টে ভেসে আসা কান্নার শব্দে প্রতিনিয়ত ভারি হয়ে উঠছে খুলনা জেলা । প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন পাশের শয্যায় চিকিৎসা নেওয়া অপর রোগীরা।
গত বছর ২০২০ সালে খুলনা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ২০২১ সালে পরিস্থিতি সংকট জনক অবস্থায় পরিনত হয়েছে। এ বছর শহরের পাশাপাশি উপজেলা / গ্রামগুলোতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। শহরের হাসপাতালগুলোতে ৫০ শতাংশ এখন গ্রামের রোগীতে ভর্তি। পরিস্থিতি যেন কোন ভাবে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অভিজ্ঞদের মতে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। অনেকে সংক্রমিত হওয়ার কথা গোপন করছেন। তাই সংক্রমণের হার বাড়ছে। লকডাউনের কোন প্রভাব সংক্রমণ ঠেকাতে পারছে না। দিন দিন সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে খুলনা এখন মৃত্যু নগরী।