বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শুক্রবার গভীররাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। ৬ মাস পর সেখানে নতুন করে নির্বাচন হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর নেপালে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেন এমন সিদ্ধান্ত? কেনই বা এমন সুপারিশ?
জানা গেছে, নেপাল সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ওলির দল। সেই কারণেই সরকার ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমন সুপারিশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি।
নেপালের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শের বাহাদুর দেউজাকে পিছনে ফেলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ওলি। কিন্তু কোভিড মোকাবিলা, দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য তাঁর উপর চাপ বাড়ছিল। নানা ক্ষেত্রেই অসন্তোষের শিকার হচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে সরকার ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছিল।
কেপি শর্মা ওলিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নেপালের সমস্ত রাজনৈতিক দল। ওলির নিজস্ব দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালও একই সুপারিশ করেছিল। তারপরেই গত রাতে আসে রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
৩৯ মাস আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন কেপি শর্মা ওলি। পাঁচ বছর তাঁর পদের মেয়াদ ছিল। কিন্তু নিজের দলের মধ্যেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ বেড়েছে।