Home Second Lead গাইবান্ধায় জামায়াত নেতাসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

গাইবান্ধায় জামায়াত নেতাসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

গাইবান্ধা: পলাশবাড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর হাসান আলী (৫০) হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতাসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অপর আটজন আসামিকে খালাস দেন আদালত।

দীর্ঘ ২২ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৮নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় প্রদান করেন।

রায় প্রদানের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আটজন আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি আবু তালেব, আবদুর রউফ, মো. জালাল, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম, ফারুক মিয়া ও মিজানুর রহমান। এরমধ্যে আবু তালেব ও মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবার বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। 

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-এম এ মালেক, লুৎফর রহমান, আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রহিম, আবু বকর মিয়া ও শফিকুল ইসলাম। খালাসপ্রাপ্তদের বাড়িও পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। 

রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মদ প্রিন্স মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে জানান, ১৯৯৯ সালে পলাশবাড়ী আর্দশ (ডিগ্রি) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী উপজেলার সুইগ্রাম ও আমবাড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে একই সালের একই বছরের ২২ অগাস্ট পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের হাসান আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ ও মারধর করে আসামিরা। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে হাসান আলীর ওপর আক্রমণ চালানো হয়। তাকে মারধর ও তার ডান হাত কেটে ফেলা হয়। পরে তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় একই সালের ২৪ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি আবু তালেবসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে বাবর আলী নামের এক আসামি মারা যান।

এদিকে আসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম প্রমানিক ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।’ উচ্চ আদালতে গেলে তারা ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করেন তিনি।