বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
নোয়াখালী: আবারও নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত ১ জানুয়ারি রাতে হাতিয়ার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী গত ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় ওই নারী ও তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতেই তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসা নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ নং আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিরাজ উদ্দিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে ফেলেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছেন।
এর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে সরকার ধর্ষণের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে।
এ বিষয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গতকাল শনিবার তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যান। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান।
