কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান ইতিপূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সময় নয়। জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বোগতিতে জর্জরিত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে । ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দাম বাড়ছে গ্যাসের। মাসিক বিল এক ধাক্কায় বাড়ছে ১২৫ টাকা বা কাছাকাছি। আজ রবিবার এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করা হতে পারে।
বিইআরসি সূত্রে জানা যায়, রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে আগে যেখানে মাসে খরচ হচ্ছিল ৯৭৫ টাকা, তা এখন বেড়ে হচ্ছে ১০৮০ অথবা ১১০০ টাকার মতো হতে পারে। এছাড়া অন্যখাতগুলোতে সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হবে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ না পড়ে।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান ইতিপূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সময় নয়। জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বোগতিতে জর্জরিত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে । ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সবাই লাভবান হতে যাচ্ছে। তবে ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে।
বিগত ২১-২৪শে মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবসমূহের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানিতে ক্যাব ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ (প্রতি ঘনমিটারে ০.১৭ টাকা) কমানোর প্রস্তাব করেছে এবং সকল শ্রেণির ভোক্তাদের জন্য বিদ্যমান মূল্যহার ৯ দশমিক ৬৯ টাকা বহাল রাখতে বলেছে। তবে গ্যাস তছরুপ প্রতিরোধে মাসিক ৭৭ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের চুলাপ্রতি গ্যাসের মূল্যহার কমানোর এবং কস্ট প্লাস-এর পরিবর্তে আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জিটিসিএল-এর সঞ্চালন চার্জ ও তিতাসের বিতরণ চার্জ মুনাফা ব্যতীত শুধুমাত্র কস্ট-এর ভিত্তিতে নির্ধারণের প্রস্তাব করে ক্যাব।