বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ঘন কুয়াশা বেশ দাপট দেখিয়েছে আজ রবিবার। কন্টেইনার জাহাজ থেকে পণ্য নামেনি, শাহ আমানতে বিমান নামতে পারেনি সকালে। ৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখানে নামতে না পেরে শাহজালালে অবতরণ করেছে।
আজ সকাল থেকে চট্টগ্রামের ব্যাপক এলাকা জুড়ে ঘন কুয়াশা। কোথাও খুব বেশি, কোথাও কম। দৃশ্যমানতা নেমে যায়। এর প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে। নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে নোঙর করা জাহাজ এমভি নরডটাইগারে কন্টেইনার উঠানো-নামানো ব্যাহত হয়েছে।ভোররাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়নি। শনিবার রাত ৯ টা থেকে রাত পৌণে একটা পর্যন্তও কাজ করা যায়নি। এ সময়ে দৃশ্যমানতা নেমে যায় ৫০ মিটারে। পুওর ভিজিবিলিটির কারণে গ্যান্ট্রি ক্রেন অপারেটররা কিছু দেখতে পায়নি। তাই কাজ ব্যাহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। বার্থ অপারেটররা জানান, যেসব জাহাজে গ্যান্ট্রি ক্রেনে কাজ হয়, সেগুলোতে হ্যান্ডলিং হয়নি ঘন কুয়াশার বিপত্তিতে চালকরা সামনে কিছু দেখতে না পাওয়ায়।
ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় শনিবার রাতে দুটি এবং আজ সকালে চারটি ফ্লাইট শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে ফিরে গেছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে নামতে না পেরে ঢাকা চলে যায়। ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি দু’বার চেষ্টা করে নামতে ব্যর্থ হয়। রবিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাসকাট রুটের একটি, দোহা থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, মাসকাট ও দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের দুটি ফ্লাইট শাহ আমানতে নামতে না পেরে শাহজালাল চলে যায়।অবশ্য পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তিন হাজার মিটার বা তার নিচে আসলে এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না।