বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান শুরু করা হবে। ইতোমধ্যেই লাইসেন্সের খসড়া প্রিন্ট শুরু হয়েছে। কার্ডের মান এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি চুক্তি অনুযায়ী হতে হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিআরটিএকে সত্যিকার অর্থে সেবামুখি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে বাইরের সুবিধাভোগীদের সখ্যাতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র। তাই যেসব কর্মকর্তা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএর সেবার মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন যানবাহন সেবায় গতি আনা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে হবে। গুটি কয়েক অনিয়মকারীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের যেন বদনাম হতে পারে না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সেবামুখি হওয়ার আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
গুণগত এবং স্মার্ট কার্ডের বৈশিষ্ট্য যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সঙ্গেই আপস করা যাবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর যেন না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মনিটর করতে হবে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে।
যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে সেবা সহজীকরণ এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেওয়া যাচ্ছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। বলেন, আগে ফিটনেস দেওয়া হতো এক বছরের জন্য, এখন দেওয়া হচ্ছে দুই বছরের জন্য। সরাসরি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই ১৮টি ব্যাংকর চারশ’র বেশি শাখা এবং বুথে মোটরযানের বিভিন্ন ফি জমা দিতে পারছেন গ্রাহকরা।
এসময় সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে জোর তাগিদ দেন তিনি।