বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
এশিয়ার শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোয় শস্যটির রপ্তানি মূল্য প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সরবরাহ সংকটে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে শস্যটির বাজারদর। মূলত ভারত বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডারের।
ব্যাংককভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি সপ্তাহে চালের দাম ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। ফলে ক্রয়াদেশের পরিমাণও কমে গেছে। চলতি মাসের শেষ দিকে বাজারে নতুন সরবরাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে। চলতি বছর থাইল্যান্ড ৮০ লাখ টন চাল রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। তবে তাদের ভারতে চলমান পরিস্থিতির ওপর খুব ভালোভাবে নজর রাখতে হবে।
ভারত গত ২০ জুলাই বাসমতী নয়, এমন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে খাদ্যনিরাপত্তার চাহিদা মেটাতে কিছু দেশকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে এবং তাদের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ভিয়েতনাম প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৫৯০-৬০০ ডলার মূল্যে রপ্তানি করছে। ১৫ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটির বাজারদর। এক সপ্তাহ আগেও দেশটি প্রতি টন চাল ৫৫০-৫৭৫ ডলারে রপ্তানি করেছিল। হো চি মিন সিটিভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতসহ কিছু দেশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় চালের দাম অব্যাহত বাড়ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘চালের দাম কতদূর পর্যন্ত বাড়বে তা এখনো আমরা জানি না। স্থানীয় বাজারে ধানের দামও দুই সপ্তাহে খুব শক্তিশালীভাবে বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮০০ থেকে ৭ হাজার ২০০ ডং পর্যন্ত। রপ্তানিকারক ও চালকলগুলোয় ধানের চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। চলতি বছর ভিয়েতনামের চাল রপ্তানি ৭৮ লাখ টনের নতুন রেকর্ড গড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর দেশটি ৭১ লাখ টন রপ্তানি করেছিল।