Home First Lead চা নিলাম: চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলের পৃথক সূচি

চা নিলাম: চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলের পৃথক সূচি

চা নিলাম কেন্দ্র, চট্টগ্রাম
  • চট্টগ্রামে ৪২, শ্রীমঙ্গলে ২০

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: চলতি ২০২০-২০২১ বর্ষ থেকে পৃথক করে দেয়া হলো দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলকে। বৃহস্পতিবার টি সেলস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিলাম সূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: সোহায়েল হোসেন খান সভাপতিত্ব করেন। বোর্ডের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ক্রমাগত উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধি এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনায় দু’টি কেন্দ্রের জন্য পৃথক সূচি দেয়া হয়েছে।

সপ্তাহের প্রত্যেক সোমবার চট্টগ্রামে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি চা বর্ষে মোট ৪২ টি নিলাম হবে এখানে।

দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে হবে ২০টি নিলাম।  বুধবারে হবে সেখানে।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় শ্রীমঙ্গল দ্বিতীয় কেন্দ্র। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাগান মালিক, ট্রেডার এবং ব্রোকারদের বিরোধিতা সত্ত্বেও দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্র চালু হয়। অবকাঠামোগত সুবিধা, ওয়ারহাউস নেই সেখানে। চট্টগ্রাম থেকে ব্রোকারদের সেখানে যেতে হয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। শ্রীমঙ্গলে নিলাম হলেও চা থাকতো চট্টগ্রামে বন্ডেড ওয়ারহাউসে। ক্রেতারা এখান থেকে ডেলিভারি নিয়েছেন। দ্বিতীয় কেন্দ্রে নিলামে তোলার জন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাগান মালিকরা নামেমাত্র পাতা ক্যাটালগভুক্ত করেছেন। কেবল তা নয়, সিলেটের বাগানগুলোও তা করেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পৃথক নিলাম সূচি দেয়ায় যার যেখানে খুশি সেখানকার জন্য পাতা ক্যাটালগে দিবেন। পাতা কোথা থেকে কিনবেন সেটাও ট্রেডারদের সুবিধার ওপর।

চট্টগ্রামে মওসুমের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মে। ইতিমধ্যে ক্যাটালগ ক্লোজ হয়ে গেছে।

শ্রীমঙ্গলে প্রথম নিলাম ৩ জুন। ক্যাটালগ ক্লোজিং ১৯ মে।

চট্টগ্রামে চা নিলামের ইতিহাস প্রায় ৭ দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে এখানে গড়ে ওঠেছে
ওয়্যারহাউস, টেস্টিং ল্যাব, বাজারজাতকরণ সুবিধা, ব্রোকারেজ হাউজ, দেশি ওবহুজাতিক বিভিন্ন বিপণন কোম্পানির হেড অফিস বা কর্পোরেট অফিস। সিলেট অঞ্চলের বাগান মালিকদের দাবি ছিল চট্টগ্রামের পরিবর্তে সেখানে চা নিলামের। তাদের সেই দাবি চট্টগ্রামের সবাইকে বিক্ষুব্ধ করে। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্র বহাল রেখে দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে চালু করা হয়।যাতায়াতের দুর্ভোগসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্রেডাররা সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাননি। আর এ কারণে প্রত্যাশিত সুফল পাওয়া যায়নি দ্বিতীয় কেন্দ্রের।