বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: চা কেবল একটি গরম পানীয় নয়, বরং নিজেকে সতেজ রাখার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প । ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সন্ধ্যায় আড্ডা দেওয়া পর্যন্ত, এটি প্রত্যেকের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । চা প্রেমীদের জন্য, প্রতিটি কাপ চা কেবল স্বাদই নয়, বরং একটি নতুন অভিজ্ঞতা ।
আপনি যদি চা প্রেমী হন, তাহলে এখানে কিছু অনন্য চায়ের তালিকা দেওয়া হল । এগুলি আপনার দেখে নেওয়া উচিত । এটি কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যকরও বটে এবং বিশেষ বিষয় হল এগুলোর অনেকগুলি ওজন কমাতেও সহায়ক ।

মশলা চা
মশলা চা: আদা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ এবং গোল মরিচের মতো ভারতীয় মশলার সংমিশ্রণে তৈরি মশলা চা ভারতীয় চায়ের একটি বিশেষ পরিচয় । এটি কেবল স্বাদেই সুস্বাদু নয়, পরিবর্তনশীল ঋতুতে ঠান্ডা-কাশি থেকে রক্ষা করতেও সহায়ক ।

আদা চা
আদা চা: আদা চায়ের ঝাল স্বাদ এটিকে বিশেষ করে তোলে । এটি ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি দেয় এবং গলা ব্যথা উপশম করে । এই চা যেকোনও ঋতুতে উষ্ণতা এবং আরামের অনুভূতি দেয় । এছাড়াও, এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে ।

গ্রিন টি
গ্রিন টি: যদি আপনি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজছেন, তাহলে গ্রিন টি সবচেয়ে ভালো । এটি ওজন কমানো, বিষমুক্তকরণ এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চুলের জন্যও উপকারী ।

কাশ্মীরি চা
কাশ্মীরি চা: জাফরান, বাদাম এবং দারুচিনি দিয়ে তৈরি, এই রাজকীয় চা কাশ্মীরের একটি বিশেষত্ব । এর স্বাদ, সুবাস এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা, তিনটিই এটিকে বিশেষ করে তোলে । এটি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে ।

তুলসী চা
তুলসী চা: তুলসী পাতা থেকে তৈরি এই ঔষধি চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ মানসিক চাপ কমায় এবং ঠান্ডা ও কাশি থেকে মুক্তি দেয় বলে জানা যায় । সকালে এটি পান করা বেশি উপকারী ।
বাটার টি: এটি হিমালয় অঞ্চলের একটি বিশেষ চা, যা চা পাতা, মাখন এবং লবণ দিয়ে তৈরি । এটি শরীরে শক্তি এবং উষ্ণতা সরবরাহ করে, যা বিশেষ করে ঠান্ডা অঞ্চলে উপকারী ।

লেবু চা
লেবু চা: লেবু এবং মধু দিয়ে তৈরি, এই চা হালকা এবং সতেজ । এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং ডিটক্সমুক্ত করতে সাহায্য করে । এছাড়াও যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনাকে এটি পান করতে হবে । গ্রীষ্মের দিনগুলিতে এটি ঠান্ডা চা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে ।

হিলিস্কাস টি
হিবিস্কাস চা: হিবিস্কাস ফুল দিয়ে তৈরি, এই চা তার টক এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত । এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ওজন কমানো এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই উপকারী । এন আই এইচ– এর তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ, অ্যান্টি-ডিসলিপিডেমিক, হাইপোগ্লাইসেমিক, শরীরের চর্বির ভর হ্রাস, নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ, অ্যান্টিঅ্যানিমেক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-জেরোস্টোমিক কার্যকলাপ; এই প্রভাবগুলি এইচএসে পাওয়া ফাইটোকেমিক্যালের দারুন উৎস ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)