বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
চিনে কোভিডে কতজন সংক্রমিত হচ্ছেন দৈনিক, মৃত্যুই বা কত, এই নিয়ে সঠিক ও স্পষ্ট কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি বেজিং। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হু এই নিয়ে বৈঠক করে প্রশ্ন তুললেও মেলেনি উত্তর। কিন্তু ইতিমধ্যেই চিনের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের সামনে চলে এসেছে একের পর এক ভাইরাল ছবি ও ভিডিওর কারণে। কোথাও দেখা যাচ্ছে শ্মশানে উপচে পড়ছে মৃতদেহ, কোথাও হাসপাতালে ঠাঁই নেই দশা। যেন ২ বছর আগের সেই মড়কের ছবিই ফিরে এসেছে আবারও।
এই পরিস্থিতিতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বাকি বিশ্বের একাধিক দেশ। এবার ভারত-সহ ১২টি দেশ চিন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য একাধিক বিধিনিষেধ আরোপের কথা ঘোষণা করেছে। হু-ও জানিয়েছে, চিনের করোনা সংক্রমণ যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তাতে বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক।
ভারত ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, চিন এবং চিন সংলগ্ন আরও কয়েকটি দেশ থেকে আসা পর্যটকদের যাত্রা শুরুর আগের ৭২ ঘণ্টায় করানো কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে বিমানবন্দরে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাও এই নীতি শুরু করেছে।
আমেরিকা জানিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চিন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আমেরিকায় ঢুকতে গেলে, হয় দেখাতে হবে যাত্রা শুরুর আগের দু’দিনের মধ্যে করা কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট, অথবা দেখাতে হবে গত ৯০ দিনের মধ্যে সেই পর্যটক করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার নথি।
জাপান জানিয়েছে, চিন থেকে আসা পর্যটকদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। তাছাড়াও উপসর্গ দেখে পরীক্ষা করা হলে যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাঁদের সাত দিনের কোয়ারান্টিন পর্ব পেরিয়ে তবেই জাপানে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।
সবচেয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে মরক্কো। তারা ঘোষণা করে দিয়েছে, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে চিন থেকে কেউ আসতেই পারবেন না এই দেশে। চিনের যে কোনও ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ সে দেশে। আগামী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধ বহাল থাকবে।